Kbdnews ডেস্ক : সমপ্রতি মুরগির মাংসে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছে চীন। ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ফ্রোজেন চিকেন উইংসে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি বেইজিংয়ের। গত বৃহস্পতিবার ব্রাজিল থেকে আমদানি করা চিকেনে করোনাভাইরাস পাওয়ার কথা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে শেনঝেন শহরের স্থানীয় প্রশাসন। এই খবরের জেরে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিপুল জনসংখ্যার চাহিদা সামলাতে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে চিকেন আমদানি করে চীন। আমদানি করা মাংসের একটা বড় অংশই আসে ব্রাজিল থেকে। কিন্তু আমদানি করা সেই মাংসেই করোনার অস্তিত্ব মেলায় উদ্বিগ্ন চীনের কমিউনিস্ট প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার শেনঝেন প্রশাসনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের সান্টা ক্যাটারিনার একটি কারখানা থেকে ফ্রোজেন চিকেন উইংস আমদানি করা হয়েছিল। তার একটি ব্যাচের চিকেন উইংসের নমুনা পরীক্ষা করে তাতে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। চিকেন উইংস ছাড়াও জিয়ানে বিক্রি হওয়া ইকুডেরিয়ান চিংড়ি মাছেও ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বুধবার আনহুই প্রদেশেও হিমায়িত চিংড়ির প্যাকেজিংয়ে করোনাভাইরাসগুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। চিংড়িটিও ছিল ইকুয়েডরের। চিকেনে করোনা পাওয়ার পরেই তৎপর হয়ে উঠেছে স্বাস্থ্য দফতর।
আমদানি করা ওই মাংস যারা হাতে ধরেছেন বা কিনে বাড়িতে নিয়েছেন তাদের সকলকে চিহ্নিত করে করোনা পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে আমদানি করা ফ্রোজেন খাবার কেনার সময়েও নাগরিকদের আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। না হলে সেদেশে ফের মহামারীর আকার নিতে পারে করোনা। শেনঝেন এপিডেমিক প্রিভেনশান অ্যান্ড কন্ট্রোল হেডকোয়ার্টারের বক্তব্য, সামুদ্রিক খাবার ও মাছ মাংস আমদানির বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। না হলে যে কোনও মুহূর্তে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই বুমেরাং হতে পারে। কিছুদিন আগে চীনে আমদানি করা ফ্রোজেন সি ফুডের মধ্যে করোনা পাওয়া গিয়েছিল। ইকুয়েডর থেকে আনানো চিংড়ি মাছে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এবার ব্রাজিলের চিকেনেও পাওয়া গেল করোনা। এর জের ধরেই চলতি বছরের জুন মাস থেকে যত প্যাকেটজাত মাংস ও সামুদ্রিক খাবার আমদানি করা হয়েছে, সমস্তটা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।