শিক্ষা নেই ! লাইসেন্স নেই ! তবুও তিনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক। গাংনীতে হাতুড়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় একাধিক রোগীর মৃত্যু।

 

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম :  ডা. জাহিদ হাসান। একজন হাতুড়ে ডাক্তার। দীর্ঘদিন কুমারখালী একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি এখন ডাক্তার সেজে সব ধরণের চিকিৎসা দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিড়্গা নেই, লাইসেন্স নেই! তবুও ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার খুলে প্রত্যনত্ম গ্রাম উপজেলার কোদাইলকাটি-রাজাপুরে চুটিয়ে ব্যবা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ভুল চিকিৎসার কারনে গ্রামের ৪/৫ জন রোগী মারা গেছে আবার অনেকেই চিকিৎসা নিতে সর্বস্ব হারিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার কোদাইলকাটি রাজাপুর গ্রামের মখলেছুর রহমানের ছেলে জাহিদ হাসান নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে অর্থ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে গ্রামের কয়েকজন জানান, জাহিদ গ্রামে কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাকে এবং স’ানীয় পুলিশ সদস্যদের ম্যানেজ করে অবৈধভাবে ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালিয়ে যাচ্ছে। যে কারনে কোন ঘটনা ঘটলেও পুলিশের ভয়ে কেউ মুখ খোলেনা। ভুল চিকিৎসায় কয়েক মাসের মধ্যে বাবর আলীর ছেলে আশকর আলী, গ্রামের তাহের কালা, খায়দুল হক সহ অনেকেই মারা গেছেন আবার অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কথিত ডাক্তার জাহিদ হাসানের কোন প্রাতিষ্ঠানিক সনদ নেই। মেডিসিন ব্যবসা তথা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। এমনকি ইউনিয়ন ট্রেড লাইসেন্স বা উপজেলা স্বাস’্য কর্মকর্তা বা সিভিল সার্জনের নিকট থেকে বৈধ অনুমোদন পত্র দেখাতে পারেনি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইসলামী লেবাসধারী জাহিদ হাসান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমার চিকিৎসায় কেউ মারা যায়নি। আমার গ্রামের প্রতিপড়্গরা ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।আমি অল্পদিন হলো গ্রামে স্বাস’্য সেবা দেয়ার লড়্গ্যে মেডিসিন বিক্রি করি।ছোট-খাট রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকি। আমি জটিল বা কঠিন রোগে আক্রানত্ম কাউকে চিকিৎসা দিই না। যে কয়জন মারা গিয়েছে, এরা আমার কাছে চিকিৎসা নিয়ে অনেকদিন পরে চিকিৎসাধীন অবস’ায় মারা গেছে।আমি কোথাও এখনও আবেদন করিনাই। কুমারখালীতে আমার কাগজ পত্র ছিল। ঐ লাইলেন্স ট্রান্সফার করে আসেত্ম আসেত্ম সব কাগজপত্র ঠিক করে নেব।
এব্যাপারে সরেজমিনে তদনত্ম করে হাতুড়ে ডাক্তার জাহিদ হাসানের বিরম্নদ্ধে অনতিবিলম্বে উপজেলা প্রশাসন,স্বাস’্য ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ ব্যবস’া নেবেন এমনটিই প্রত্যাশা এলাকাবাসির।
আমিরুল ইসলাম অল্ডাম
মেহেরপুর

Post a Comment

Previous Post Next Post