মোল্লাহাটে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

IMG_4349
মিয়া পারভেজ আলম  মোল্লাহাট প্রতিনিধি :   বাগেরহাটের মোল্লাহাট  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস পালনে খুনী ও ষড়যন্ত্রকারী সকলকে বিচারের আওতায় এনে দ্রম্নত শাসিত্ম নিশ্চত করার জোর দাবী জানানোসহ আলোচনা সভা, শহীদদের স্মরণে কালো ব্যাচ ধারণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উদয়পুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে শুক্রবার সকাল ১০ টায় এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উদয়পুর ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতি অধ্যড়্গ এল জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ান চৌধুরী সঞ্চালনায় ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল আলম ছানা, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কালীপদ বিশ্বাস, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও ভাইচ চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম রেজা। এছাড়া উপসি’ত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুলস্নাহিল কাফি, ইউসুফ আলী খাঁন, শিকদার সাইকুল আলম, এস, এম নাসির উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সি তানজিল হোসেন, চৌধূরী শামিম আহসান, প্রেসক্লাব মোলস্নাহাটের সাধারণ সম্পাদক এম এম মফিজুর রহমান, উপজেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহাগ, সাংবাদিক শেখ শাহিনুর ইসলাম শাহিন ও মোঃ মনিরম্নজ্জামান মোলস্নাসহ আওয়ামীলীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ সময় বক্তারা বলেন ২১ আগস্টে জড়িত সকল খুনিদের রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে। এছাড়া সকল দোসীদের দৃষ্টানত্ম মুলক শাসিত্মর দাবি করা হয়।

এছাড়া আটজুড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের আত্নার শানিত্মকামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার জুম্মা নামাজ শেষে ভান্ডারখোলা এ্যাডঃ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মোলস্নার বাড়ি জামে মসজিদ ও সিকদার বাড়ি জামে মসজিদে এ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপসি’ত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল বাসার মোলস্নাসহ সর্ব সত্মরের মুসলস্নীগণ।

ধর্ষণের ঘটনা ১০ হাজার টাকায় রফা ও ধর্ষণ চেষ্টা ধম’কে ধামাচাপ  মোল্লাহাটে   এক রাতে দুই মহিলার সম্ভ্রমহানি

 

মিয়া পারভেজ আলম  মোল্লাহাট প্রতিনিধি :  মোল্লাহাটে  একরাতে একই এলাকায় পৃথক দুই মহিলার একজন ধর্ষণের শিকার ও অপরজন ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়নের আড়-য়াডিহি এলাকায় বুধবার রাতে ন্যাক্কার জনক পৃথক ওই দুই’টি ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার বিধবাকে দশ হাজার টাকা দিয়ে রফা-দফা ও ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী’কে ধমকিয়ে ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। জঘণ্য ওই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃস্টি হয়েছে। জোর পূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার শিকার মহিলা ওই এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রী এবং ধর্ষণের শিকার মহিলা একই এলাকার বিধবা।

স’ানীয় কয়েক বৃদ্ধ ও যুবকসহ বিভিন্ন সুত্রে পাওয়া ওই খবরে সংশিস্নষ্ট এলাকায় গেলে শস্নীলতা-সম্ভ্রমহানির শিকার প্রবাসীর স্ত্রী (৩৫) জানান-তিনি তার পোষা মুরগীর খোজে বৃহস্পতিবার সন্ধায় পাশের বাড়ি যান। তখন ওই বাড়িতে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে আলমগীর ফকিরের ছেলে শাহিন ফকির (২৫) তাকে টেনে ঘরের ভেতরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে। তিনি লোক-লজ্জায় উচ্চ স্বরে চিৎকার না করলেও ইজ্জত রড়্গায় ধসত্মা-ধসিত্ম করেন। এভাবে প্রায় আধা ঘন্টা সময় পার হয়। একপর্যায়ে তার শাশুড়িসহ কয়েকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। ওই সময় লম্পট শাহিনকে তার তিন চাচি মিলে সরিয়ে দেয়। একই সময়ে শাহিনের পড়্গের কয়েক ব্যক্তি উল্টা তাকে (মহিলা) ধমকিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। ওই ঘটনার বিচার দাবী করেন ভিকটিম। শাহিনের চাচী ঝর্না, খুশি ও ববিতা বলেন-ওই মহিলার চরিত্র ভালোনা, আমাদের ওই ঘরে শাহিন একা থেকে লেখা-পড়া করে, ওই মহিলা নিজে এসে শাহিনের ঘরে ঢুকেছে, পরে তার শাশুড়িসহ কয়েকজনে তাকে নিয়ে গেছে। শাহিনের চাচী ববিতা আরো বলেন-ওই ঘটনায় তিনি নিজে তার পায়ের জুতা খুলে শাহিনকে পিটিয়েছেন। এরপর থেকে শাহিন আর বাড়ি নাই।
শাহিনের পিতা আলমগীর ফকির ০১৭২৪৪১৪৩০৮ নং মোবাইলে জানান-ওই মহিলা তার ছেলের ঘরে এসে উঠেছে এবং তার ছেলে অত্যনত্ম ভালো। এর পূর্বে মেয়েলী এক ঘটনায় তার ছেলে জনতার হাতে মারপিটের শিকার হয়েছিলো কি-না ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেশ পূর্বে ভান্ডারখোলা এলাকায় মারপিটের শিকার হয়েছিলো, তবে, তার ছেলের দোষ ছিলোনা।

অপরদিকে শাহিনের পাশের বাড়ির রজব আলী শেখের ছেলে রেজাউল শেখ (৩৫) একই এলাকার এক বিধবা (৩৫)’কে রাসত্মা থেকে ধরে বাগানে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় স’ানীয়রা হাতে-নাতে ধরলে অনেকে জড় হয়। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য মারম্নফসহ কয়েক ব্যক্তি বিষয়টি রফা-দফা করে।
রেজাউলের মা লিপিয়া বেগম বলেন-রাতের ঘটনা রাতেই ফয়সালা হইছে, দশ হাজার টাকা দিছি, দশ হাজার টাকায় মেম্বার মারম্নফ মিটাইছে।
ইউপি সদস্য মারম্নফ বলেন-রাতেই মিটে গেছে, এ নিয়ে কিছু লিখেন না। এছাড়া ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাও না লেখার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
তবে, ভিকটিম’কে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নাই।
থানা অফিসার ইনচার্জ কাজি গোলাম কবীর বলেন-থানায় কোন অভিযোগ কেউ করে নাই, তবে, এ জঘণ্য ঘটনার বিচার হওয়া উচিৎ। বিষয়টি তিনি খোজ-খবর নিবেন বলেও জানান।

Post a Comment

Previous Post Next Post