ঘটনা’কে তিলসম বলছেন-তদত্ম কর্মকর্তা এসআই আয়ূব
মিয়া পারভেজ আলম (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ঃ
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে পিসির বাড়ি যাওয়ার পথে এক হিন্দু যুবতীকে তুলে নির্জন এলাকায় ঘেরের ঘরে নিয়ে রাতভর অত্যাচার অতঃপর গহণা কেড়ে রাখার ঘটনাকে তিলসম (ছোট) ঘটনা বলে আখ্যা দিলেন ওই ঘটনার অভিযোগের তদনত্ম কর্মকর্তা এসআই আয়ূব। গত বুধবার রাতে মোলস্নারকুল গ্রামের চার যুবক ন্যাক্কার জনক ওই ঘটনা ঘটায় মোলস্নারকুল মধ্যপাড়া নির্জন/ফাকা এলাকার জনৈক জিহাদ কাজীর ঘেরের ঘরে। ওই ঘটনায় পাশ্বর্ভবর্তী এলাকার চৌকিদার মোঃ নুরম্নল ইসলামের মাধ্যমে থানায় যান এবং যুবকদের বিরম্নদ্ধে অভিযোগ করেন ভিকটিম। ভিকটিম (১৮) উপজেলার চাউলটুরী এলাকার অত্যনত্ম অসহায় এক হিন্দু পরিবারের মেয়ে।
চৌকিদার মোঃ নুরম্নল ইসলাম জানান-বৃহস্পতিবার সকালে পার্শ্ববর্তী আটজুড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান আওয়ামীলীগের সভাপতি কাহালপুর গ্রামের আবুল বাশার মোলস্না ওই ভিকটিমকে তার মাধ্যমে থানায় পাঠান। তিনি থানায় নিয়ে যান এবং ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে একজনের নাম উলেস্নখসহ অজ্ঞাত আরো তিন যুবকের বিরম্নদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি আরো জানান-পরবর্তীতে খোজ-খবর নিয়ে অপর তিন যুবকের পরিচয় পেয়েছেন / নিশ্চিত হয়েছেন। ওই যুবকরা মাদক সংশিস্নষ্ট অপরাধসহ চুরি-ছিনতাই ও অসামাজিক কার্যকলাপ করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। একই কথা বলেন-স’ানীয় আনিস খাকীসহ অনেকে।
ভিকটিম বলেন-তিনি বুধবার বিকেলে তার পিসি বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন, পথিমধ্যে একটি মটরসাইকেলে তাকে জোর করে তোলে দুই যুবক। তারা আমাকে পিসির বাড়ি পৌছে দেয়ার কথা বলে ইচ্ছার বিরম্নদ্ধে অনেকরাত পর্যনত্ম ঘুরাতে থাকে। একপর্যায়ে গভীররাতে একটি ঘেরের ঘরে নিয়ে ভোর পর্যনত্ম অত্যাচার করে এবং কানের ও নাকের সোনার গহণা কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দেয়।
চাউলটুরী এলাকার মাতবর কালু সাংবাদিকদের বলেন-এসব বাদ দিতে হবে, আমি থানায় ফোন করে বলছি, তাই ওরে (ভিকটিম) বাড়ি দিয়ে গেছে পুলিশ। আসলে মেয়ে খারাপ, এ্যা নিয়ে (ভিকটিম) কিছু করা যাবে না। আমার বাড়ির কাছে-আমি এ্যাগে ভালো করে চিনি, প্রত্যেকদিন বাড়িরতে বের হয়ে যায়। ওর সোনা/গহণা উদ্ধারের জন্য কয়েক জনরে আমি দায়িত্ব দিছি। সোনা উদদ্ধার হবে।
সাবেক চেয়ারম্যান ও আটজুড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার মোলস্না জানান-ওই মেয়েটাকে একটি কালভার্টের উপর কাদতে দেখে জনৈক বুনে খা তাকে নিয়ে আমার কাছে আসে। তাদের পিছনে নুরম্ন চৌকিদার আসে এবং ঘটনা সম্পর্কে বলে। তখন মেয়েটার কাছে বিষয়টি জেনে ওই চৌকিদারের মাধ্যমে তাৎড়্গণিক থানায় পাঠান তিনি। এরপর ওই দিন বিকালে থানা থেকে আয়ূব নামে এক দারোগা আসেন এবং নুরম্ন চৌকিদারকে নিয়ে এলাকায় খোজ-খবর নেন। ওই দারোগা কানের একটি গহনা উদ্ধার করেছেন বলেও তিনি জানান।
অভিযুক্ত একজনের পিতা বলেন, আমার ছেলে আসল অপরাধী না, সে কেবল মটরসাইকেলে করে আনছিলো, তারপরও কানের গহনা একটির দাম ছয় হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। দারোগা আসছিলো তিনি সব জানেন। চাউলটুরী এলাকার মাতবর কালুর মাধ্যমে বিষয়টি মিটমাট হয়েছে।
ওই অভিযোগের তদনত্ম কর্মকর্তা এসআই আয়ূব তার ০১৯৩৫২৬০০৪৭ নং মোবাইলে বলেন-আপনারা সাংবাদিক, তিলরে তাল তাল বানিয়ে ঝামেলা সৃস্টি করতেছেন, মেয়েটা অভিযোগ করায় তার কানের গহনা উদ্ধার হয়েছে। মেয়ের আর কোন অভিযোগ নাই, এরপরও আপনারা ওসি’কে ফোন করছেন আবার পত্রিকায় দিছেন। অসহায় যুবতী মেয়েকে ধরে নিয়ে সারারাত নির্জন স’ানে যুবকরা অত্যাচার করার ঘটনা সত্য কি-না ? এবং আপনি (দারোগা) এলাকায় তদনেত্ম গেছেন কি-না ? এবং এমন ঘটনা কি আসলেই তিলসম ? এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, থানায় আসেন পরে সাড়্গাতে কথা হবে। অতঃপর সংযোগ কেটে দেন।