মোল্লাহাটে দারোগার ছেলের মোবাইল চুরি ! দুই শিশুকে নির্যাতন-দুই লক্ষটাকা দাবী !!

 

104435871_266414381300246_8248359957135003628_n

দারোগার ছেলেয়া পারভেজ আলম :   বাগেরহাটের মোল্লাহাটে এক দারোগা (উপ-পুলিশ পরিদর্শক) এর ছেলের মোবাইল চুরির ঘটনায় দুই শিশুকে ধরে বাড়িতে এনে বন্ধি রেখে অত্যাচার-নির্যাতন করাসহ তাদের পরিবারের কাছে দুই লড়্গ টাকা দাবী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কাচনা গ্রামে এস,আই নুর মোহাম্মদ শেখ (নুর দারোগা) এর বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার সারারাত ও শুক্রবার দুপুর পর্যনত্ম বন্ধি, নির্যাতন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের ওই ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ভিকটিম পরিবারের পড়্গ থেকে ৯৯৯-এ কল করা, ইউএনও, থানা ও সাংবাদিকদেরকে বিষয়টি জানানো হয়। এরপর স’ানীয় চুনখোলা ক্যাম্প ও থানা পুলিশের মোবাইল আদেশে ওই শিশুকে নিয়ে থানায় সোপর্দ করে নুর দারোগা ও তার ছেলে মোঃ আমিনুর শেখ।
নির্মমতার শিকার দুই শিশু হলো কাচনা গ্রামের টিপু শেখের ছেলে নাঈম (১৩) ও পার্শ্ববর্তী তেরখাদা উপজেলার কামারোল গ্রামের শামীম শেখের ছেলে ইয়াসিন (১৩)। এরা দুই জনই সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বলে জানা যায়।
ইয়াসিনের পিতা শামীম শেখ, মা ইতি বেগম ও নানা ইকরাম বিশ্বাস জানান, প্রতিদিনের ন্যায় ইয়াসিন গত বুধবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে থাকে। তবে, ওই দিন তার সহপাঠি নাঈমও সাথে ছিলো। ওই রাতে না-কি কাচনা গ্রামের নুর দারোগার বাড়ি থেকে তার ছেলের মোবাইল চুরি হয়। পরেরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধায় কামারোল থেকে ইয়াসিনকে এবং কাচনা থেকে নাঈমকে নুর দারোগা ও তার ছেলে আমিনুর তাদের বাড়ি ডেকে নেয়। এরপর শুরম্ন করে অত্যাচার ও ভয়ভীতি প্রদর্শন। ইয়াসিনকে গামছা দিয়ে দুই হাত বেঁধেঁ ঝুলিয়ে রাখে ঘরের মধ্যে। তখন কষ্ট সহ্য করতে না পেরে জীবন বাচাতে মোবাইল চুরি করেছে বলে সিকার করে। এরপর তার ভাষ্যমতে নির্দিষ্ট স’ানে মোবাইল খুজে পাওয়া যায় নি। এরপর ওই শিশুর অভিভাবকরা জিজ্ঞাসা করলে ইয়াসিন জানায় সে আসলে মোবাইল চুরির বিষয়ে কিছুই জানে না, কেবল জীবন বাঁচাতে চুরির কথা স্বিকার করেছে। এরপর তারা ইয়াসিনকে নিতে চাইলে নুর দারোগা ও তার ছেলে আমিনুর তাদেরকে শর্তদেন, হয় মোবাইল দিতে হবে, না হলে ড়্গতিপূরণ বাবদ দুই লড়্গ টাকা দিতে হবে। অসহায় হতদরিদ্র অভিভাবকরা তাদের শর্ত পুরণ করতে না পারায় ওই রাতে বন্ধি রেখে ইয়াসিনকে কয়েক দফায় হাত বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এভাবে কেটে যায় সারারাত। সকালেও তাদেরকে না ছেড়ে দুই লড়্গ টাকা ড়্গতিপূরণ দাবীতে অটল থকে দারোগা ও তার ছেলে। এভাবে দুপুর হয়, শিশুদের মুক্ত করতে ছুটা-ছুটি করতে থাকে অসহায় অভিভাবকরা। একপর্যায়ে মোলস্নাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মোবাইলে জানানোসহ থানা পুলিশ ও সাংবাদিকদের দ্বারস’ হণ। পুলিশ তাদেরকে উদ্ধারে ততপর না হওয়ায়/গুরম্নত্ব্ব না দেয়ায় ৯৯৯-এ ফোন করা হয়। এরপর ৯৯৯-এর হস’ড়্গেপে থানা পুলিশ ও চুনখোলা ক্যাম্প পুলিশ নুর দারোগাকে মোবাইলে বলেন, দুই শিশুকে থানায় হাজির করতে। সেমোতাবেক বিকেল ৩টার পর দুই শিশুকে গামছা দিয়ে হাতজোড়া বেঁধে ভ্যানে করে থানায় আনেন। এরপর রাত প্রায় সাড়ে ৯টা অবধি দফায় দফায় থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদেও চোর প্রমানিত হয়নি। তবুও দারোগার সম্মান বলে কথা, থানা থেকে মুক্তি পেতে ওই দারোগার কাছে দুই শিশু ও তাদের অভিভাবকদের দিয়ে চাওয়ানো হয়েছে ড়্গামা।
এসআই নুর মোহাম্মদ বলেন, তিনি বর্তমানে বটিয়াঘাটা থানায় কর্মরত আছেন। ৪/৫দিন হলো বাড়িতে আসছেন। গত বুধবার রাতে ওই দুই ছেলে তার ছেলে আমিনুরের ছাব্বিশ হাজার টাকা দামের মোবাইল চুরি করেছে।
দারোগার ছেলে আমিনুর বলেন, তিনি একজন উকিল, ঢাকায় প্রাক্টিস করেন, আইন-কানুন তার ভলো করে জানা আছে। ওরা (শিশু) তার ছাব্বিশ হাজার টাকার মোবাইল চুরি করছে নিশ্চিত। ওই মোবাইলে গুরম্নত্বপূর্ণ অনেক তথ্য/সম্বর রয়েছে। এতে তার অনেক ড়্গতি হয়েছে। এছাড়া পাশের আরও এক বাড়িও ওই রাতে তারা চুরি করছে বলে জানান তিনি।
মোলস্নাহাট থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদনত্ম) জগন্নাথ চন্দ্র বলেন, নুর দারোগা ওই শিশুদের নামে মামলা করতে চেয়েছিলো, কিনত্ম চোরাই মোবাইল উদ্ধার না হওয়ায় এবং চুরির বিষয় স্বিকার না করায় মামলা নেওয়া হয় নাই।

Post a Comment

Previous Post Next Post