স্টাফরিপোটার : গাংনীর পাকুড়িয়া গ্রামে কলা গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা ! রাতের আঁধারে কলা বাগানের ফলবান কলার কান্দি কর্তন ও ঘাস মারা কীটনাশক স্প্রে করে কলার কান্দি নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পূর্বশত্রুতাবশতঃ আড়াই বিঘা জমিতে রোপিত ৪০০ টি কলা গাছের কান্দি যার মূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা পরিমান কলা ক্ষেত তছরুপাত করেছে সন্দেভাজন দুর্বৃত্তরা। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,গত ৩১ মার্চ মঙ্গলবার দিনগত গভীর রাতে কলার কান্দিতে কীটনাশক স্প্রে করে বিনষ্ট করার অভিযোগে জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রাম্য মাতব্বরদের অনুরোধে কোন আইনানুগ ব্যবস’া নেয়াও সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস’ দিশেহারা কৃষকের মাথায় হাত দেয়ার মত অবস’া লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার পাকুড়িয়া পূর্ব পাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা জানান, আমি একজন গরীব মানুষ।আমি ব্যাংক ঋণ নিয়ে ধার দেনা কওে কলা ক্ষেতের আবাদ করেছি। জমি জমা সংক্রান্ত পারিবারিক কলহের জের ধরে আমার বড় ভাই মৃত ছানোয়ার হোসেনের ছেলে ভাতিজা প্রবাস ফেরত সাফায়ত হোসেন রাতের আঁধারে আমার কলা ক্ষেতে ঘাস মারা কীটনাশক স্প্রে করে ক্ষতি সাধন করেছে। আমি এই অন্যায়ের বিচার চাই্। তিনি আরও জানান, কলা বাজারজাত করার সময় হওয়ায় আমি কলা ব্যবসায়ীদের সাথে কলা বিক্রি করার জন্য বা্য়না গ্রহন করি। গত বৃহস্পতিবার কলা ক্রেতারা জমিতে গিয়ে কলা বিনষ্টের কথা জানান। তখনই আমি জমিতে গিয়ে কলার কান্দিতে বিষ প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারি। গ্রামের কচুইখালী গ্রামের ঈদগাহ পাড়ার শ্মশান ঘাটের পার্শ্বের মাঠে আড়াই বিঘা জমিতে প্রায় ৪০০ কলার কান্দি ছিল ।
এব্যাপারে সরেজমিনে ঘটনার বিবরণ জানতে গেলে, আঃ কুদ্দুসের মেঝো ভাই আব্দুস সামাদ ও নওয়া ভ্াই আঃ বারেক জানান, সাফায়ত একজন দুর্ধর্ঘ প্রকৃতির লোক ।সে কাউকে তোয়াক্কা করেনা। সেই এই ক্ষতি করেছে। সে একজন কুলাঙ্গার ছেলে। মা’কে ধরে লাঞ্ছিত করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল। প্রবাসে নানা অপরাধে জড়িয়ে দেশে পালিয়ে এসেছে।
এনিয়ে অভিযুক্ত সাফায়ত এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জমি জমা নিয়ে বিরোধ । তাই আমার নামে দোষারোপ করছ্ে । অসহায় কৃষক শেষ সম্বল হারিয়ে এখন পাগলপ্রায়। সরকারী সহায়তার দাবি জানিয়েছেন আঃ কুদ্দুস।
এব্যাপারে গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, কলা ক্ষেত নষ্ট করার ব্যাপারে পাকুড়িয়া গ্রাম থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস’া নেয়া হবে।