Kbdnews: আমিরুল ইসলাম অল্ডাম : মেহেরপুরের গাংনীতে অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার গমের ফলন বির্পয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে। আগের বছর ব্লাস্ট রোগের আক্রমণের কারণে কৃষি অফিস গম চাষের ব্যাপারে চাষিদের নিষেধ ও নিরুৎসাহিত করেছিলেন। কৃষি অফিসের পরামর্শে গমের চাষের পরিবর্তে অনেকে পরিমাণ জমিতে করেছিলেন মসুরী চাষ। কিন’ গত ২ বছর গমের ভালো ফলন হয়েছিল। এবছর উপজেলার বেশীরভাগ মাঠে গম আবাদ হয়েছে। গম ক্ষেতের চেহারাও ভাল ছিল । কিন’ হঠাৎ করে বেশীরভাগ গম ক্ষেতে ব্লাষ্ট রোগে গমের শীষ সাদা হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও গম ক্ষেতের পাতা হলুদ হয়ে গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা নিরুৎসাহিত করার পরও উপজেলায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। যদিও গতবারে ব্লাস্ট কম লাগলেও এবছর গমক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ বেশী দেখা দিয়েছ্ে।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম শাহাবুদ্দীন আহমেদ জানান, এ বছর রবি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে।
সাহারবাটী গ্রামের গমচাষী সেন্টু মিয়া, বাবলু, সোনাহার জানান , আমরা এবছর একেক জন ৪/৫ বিঘা জমিতে গম চাষ করেছিলাম কিন’ বর্তমানে ব্লাস্ট রোগে সব শীষ সাদা হয়ে যাচ্ছে। কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী ক্ষেতে নাটিভো, স্কোরসহ নানা প্রতিষেধক দিয়েও কোন কাজ হয়নি।এবছর সব ক্ষতি। ধর্মচাকী গ্রামের কৃষক লিটন মাহমুদ জানান, এবার আমি আড়াই বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি।কিছুই হবে না। সব ন্ষ্ট হয়ে গেছে।একই কথা জানালেন , চৌগাছা গ্রামের চাষী হাজী ফয়েজউদ্দীন শেখ।
গমচাষের শুরু থেকেই ব্লাস্ট নামের ছত্রাক জনিত রোগটির বিষয়ে এবার যথেষ্ট সজাগ ছিলেন তারা। তাই সময়মত জমির পরিচর্যা করাসহ ব্লাস্ট ছত্রাক থেকে বাঁচতে বালাইনাশক স্প্রে করেছিলেন। তারপরেও ফলন বির্পযয় দেখা দিয়েছে।
চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগ বারণ করার পরেও জমিতে বারি-২৬ জাতের গম চাষ করেছেন। মাঠে ফসলের অবস’া ভাল ছিল। চাষকৃত জমিতে একর প্রতি ১০ মন থেকে ১২ মন গম পাওয়ার আশা করছেন চাষীরা।
গমক্ষেতে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে গমের দানা পরিপূর্ণ না হয়ে চিটা দেখা দিয়েছে । একারণে এবছরও উপজেলায় গমক্ষেত গুলোতে এ রোগের আক্রমণের আশংঙ্কা ছিল। একারণে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের গম চাষ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শ উপেক্ষা করে যেসব কৃষক গম চাষ করেছেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সময়মত গমক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। গমক্ষেত গুলোতে এবার ছত্রাকের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এবছর শতাব্দী, প্রদীপ, বারী ২৬, ২৮ ও কিছু নতুন বারী ৩০ জাতের গম চাষ হয়েছে ।