এনু-রুপনের কোটি কোটি টাকা। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক এনু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা করেছে র্যাব-৩।
বুধবার রাতে রাজধানীর ওয়ারী থানায় এই মামলা হয়।
গত সোমবার রাতে পুরান ঢাকার লালমোহন সাহা স্ট্রিটের ১১৯/১ নম্বর, মমতাজ ভিলার দুটি ফ্ল্যাটে আরো ৫ সিন্দুকের খোঁজ পায় র্যাব। সিন্দুকগুলো থেকে র্যাব নগদ ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা জব্দ ছাড়াও সোয়া ৫ কোটি টাকার এফডিআর, এক কেজি সোনাসহ বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।র্যাব-৩ এর এএসপি রবিউল ইসলাম বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওয়ারী থানায় মামলা করা হয়। দুটি মামলায় এনু-রূপনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে ক্যাসিনোকাণ্ডে অন্যতম দুই হোতা এনু ও রূপন ভূঁইয়ার কত টাকা, বাড়ি, গাড়ি আর ফ্ল্যাট আছে, তা কেউ জানে না।র্যাবের ধারণা, ওই বাড়ির নিচে আরো টাকা থাকতে পারে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুরান ঢাকা এলাকার আরেকটি বাসায় এনু-রূপনের আরো অন্তত ৩-৪টি ভল্ট রয়েছে। অত্যাধুনিক ওই ভল্টগুলো ইলেকট্রনিক্স চিপস্্ এবং পাসওয়ার্ড সংবলিত। অত্যন্ত সুরক্ষিত এসব ভল্টে রক্ষিত আছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
র্যাবের গোয়েন্দা এবং গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, ক্যাসিনোর সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন, তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তবে এর আগে প্রাপ্ত তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে নিচ্ছি।