বারী উদ্দিন আহমেদ বাবর : কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আদালতের পরোয়ানাভুক্ত সোহাগ নামের এক আসামী ধরাকে কেন্দ্র করে সাধারনের সাথে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে এক শিশুসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এসময় ৩ পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার বাঙ্গড্ডা গ্রামের উত্তর পাড়ার মফিজুর রহমানের ছেলে ২ মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামী মোহাম্মদ সোহাগকে ধরতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন বাঙ্গড্ডা গ্রামের ভ্যান চালক কবির আহাম্মদের ছেলে শিশু রাকিব হোসেন (১১), ও মফিজুর রহমানের ছেলে ওমর ফারুক। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- নাঙ্গলকোট এএসআই আবদুর রহীম, কনষ্টেবল জাহিদ ও মানিক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঙ্গড্ডা গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে সোহাগ পুলিশের উপর হামলা সহ ৪ মামলার আসামী। এরমধ্যে দুই মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালতের পরোয়ানা ছিল। এসব পরোয়ানায় তাকে গ্রেফতার করতে বুধবার গভীর রাতে এএসআই আবদুর রহীমের নের্তৃত্বে একদল পুলিশ সোজাগের বাড়ীতে হানা দিয়ে সোহাগকে আটক করে। তখন সোহাগ সকল মামলায় জামিনে রয়েছে এবং থানায় রি-কল জমা আছে বলে তার হাতকড়া খুলে দিতে বলে। এনিয়ে তার সাথে এএসআই রহীমের বাক বিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে সোহাগের চিৎকারে তার ভাই ফারুক সহ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তারা সোহাগকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিসের সাথে দস্তাদস্তি করে। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ দুই রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে রাকিব নাসের এক শিশু ও সোহাগের ভাই ফারুক গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় উত্তজিত জনতা পুরিশের উপর ছড়াও হয় একটি বাড়ীতে অবরুদ্ধ করে রাখে। এতে এএসআই আবদুর রহীম, কনষ্টেবল জাহিদ ও মানিক আহত হয়। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (চৌদ্দগ্রাম সার্কেল) সাইফুল ইসলাম সাইফ, নাঙ্গলকোট থানার ওসি মামুন অর রশিদ সহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আসামী সোহাগ বলেন, আমি জামিনে থাকার পরও আমার ওয়ারেন্ট আছে বলে ধরে নেয়ার চেষ্টা করলে আমার মা ও স্ত্রী বাধা দেয়। এসময় আমরা দারোগা রহীমের কাছে ওয়ারেন্ট কপি চাইলে সে দেখাতে পারেনি। এএকপর্যায়ে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ও আমার মা এবং স্ত্রীকে মারধর করে। আমাদের চিৎকার শুনে আমার ভাই এগিয়ে এলে তাকেও তিনি গুলি করেন। তার এমনকান্ডে গ্রামবাসী উত্তজিত জনতা তাদের ধাওয়া করলে তারা একটি বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নিলে সেখানে তাদের গ্রামবাসী অবরুদ্ধ করে রাখে। ভোরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি মামুন অর রশিদ বলেন, একাধিক পরোয়ানাভুক্ত আসামী সোহাগকে গ্রেফতার করলে তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার স্বজনরা পুলিশকে লক্ষ করে পাথর ছোঁড়ে আক্রমন চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এ ঘটনায় ৩ পলিশ সদস্য সহ ৫ জন আহত হয়েছে। আমরা আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি।