বারী উদ্দিন আহমেদ বাবর, কুমিল্লাঃ কুমিল্লার তিতাসে চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে আনসার সদস্য শাহরিয়ারের (৩২) মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের বড় ভাই গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে তিতাস থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এই মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় অজ্ঞাত আরো ১০-১২জনকে আসামী করা হয়েছে। এরইমধ্যে অভিযান চালিয়ে দড়িকান্দি গ্রামের মৃত আবদুল লতিফ মেম্বারের ছেলে মো. আদিলুজ্জামান (৪৬) ও ভিটিকান্দি গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে শামীম হোসেন (২৬) কে আটক করেছে পুলিশ।
মামলার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রামের মৃত এসডু মিয়ার ছেলে ও উপজেলা আনসার বিডিপির খন্ডকালিন সদস্য শাহরিয়ারকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার দিবাগত রাতে দক্ষিণ পাড়ার সুমন গংরা পিটিয়ে হত্যা করে। দীর্ঘদিন যাবৎ দক্ষিণ পাড়ার সুমন গংদের সাথে মোল্লা বাড়ীর (শাহরিয়ার) লোকদের বিরোধ বিরোধ চলে আসছে। নিহত শাহরিয়ার যুবলীগকর্মী পরিচয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে মাদক কারবার, ইভটিজিং, চাঁদাবাজির প্রতিবাদে আট মাস আগে তাঁর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।নিহতের বড়ভাই গোলাম মোস্তফা বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তারা আমার ভাইয়ের নামে মিথ্যা অভিযোগে মানববন্ধন করেছে। আমার ভাই অপরাধ করে থাকলে তারা পুলিশের হাতে তুলে দিত। আজ পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে।
গণপিটুনিতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তিতাস থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম বলেন, সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ পর্যন্ত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।