মিয়া পারভেজ আলম মোল্লাহাট প্রতিনিধি : মোল্লাহাটে মাত্র দুই বছরের শিশুকে ধর্ষণের মাধ্যমে রক্তাক্ত যখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক লম্পট যুবকের বিরুদ্ধে। মোল্লাহাটের উদয়পুর আড়-য়াকান্দি এলাকায় গত মঙ্গলবার বিকেলে পৈশাচিক এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত শিশুটিকে ধর্ষকের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে তিনদিন যাবৎ হোমিও চিকিৎসা দেয়া হয়। এতে শিশুটি সুস’্য না হওয়ায় অসহায় ভিকটিম পরিবারের পক্ষ থেকে গত শুক্রবার মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস’্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষাসহ উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস’্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
শিশুটির মামা এবং মা জানায়-গত মঙ্গলবার বিকেলে অন্যান্য দিনের ন্যায় প্রতিবেশী পান্নু খন্দকারের বাড়িতে টিভি দেখতে যায় শিশুটিসহ তার মা। কিছুক্ষণ পরে শিশুটিকে রেখে তার মা অল্পসময়ের জন্য বাড়িতে যান। এসুযোগে পান্নু খন্দকারের ছেলে ফাহাদ খন্দকার (১৮) তার শয়ন ঘরে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পৈশাচিক ওই ঘটনায় শিশুটি চিৎকার করলে ওই ঘরে যান ধর্ষকের মা। তখন ধর্ষক ফাহাদ এবং তার মা লাভলী বেগম মিলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে রক্তাক্ত যখমী শিশুটিকে পড়ে গিয়ে ব্যাথা পাওয়ার কথা শেখাতে চেস্টা করে। এরই মাঝে শিশুটির মা ওই বাড়িতে গেলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। তখন যখমী শিশু তার মাকে জানায় পৈশাচিকতা। ওই সময় ধর্ষকের মা লাভলী বেগম এ ঘটনা কাউকে না জানানোর অনুরোধ করাসহ শিশুটির সুস’্যতার জন্য হোমিও ঔষধ এনে দেয়। এছাড়া ভিকটিমের মাকে বলেন এঘটনা যদি লোকজন জানতে পারে তা হলে তোমার মেয়ে বড় হলে বিয়ে হবে না। অসহায় ওই পরিবারটি তাদের কথামত চুপ থাকে। এরপরও শিশুটি সুস’্য না হওয়ায় গত শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি করে শিশুটিকে।
এবিষয়ে ফাহাদের মা লাভলী বেগম বলেন-তার ছেলে সবসময় মেয়েটাকে (শিশু) খুব আদর করে। ঘটনার সময় তিনি রান্না করছিলেন, এমতাবস’ায় মেয়েটা তার ছেলের ঘরে দৌড়ে যায়, এর মাত্র ২/৩ মিনিট পর মেয়েটার কন্না শুনে রান্না ঘর থেকে দৌড়ে ছেলের ঘরে যান তিনি। তবে, তিনি রক্ত দেখেন নি এবং মেয়েটা পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে বলে জানান। তিনি আরো বলেন, তার ছেলেকে চড়-থপ্পড় মেরেছেন এবং মেয়েটাকে নিয়ে হোমিও ডাক্তারের বাড়িতে গিয়ে ওই ডাক্তারের স্ত্রীকে দেখিয়ে ওষধ কিনে দিয়েছেন। এছাড়া তার তিনটি মেয়ে থাকলেও ছেলে মত্র একটি। তাই তার ছেলের যেন, কোন ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে অনুরোধ করেন তিনি।
এ বিষয়ে থানা ওসি কাজী গোলাম কবীর বলেন-অশ্যই আইনানুগ ব্যাবস’া গ্রহণ করা হচ্ছে।