Kbdnews.com : মধ্যপ্রাচ্যের ফল খেজুর উৎপাদনে প্রাথমিকভাবে সফল হয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন দেশের বিজ্ঞানীরা। মেহেরপুরের মুজিবনগর কমেপ্লেক্সে পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি বাগানের ২০টি গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে খেজুর। চলছে সাকারের মাধ্যমে চারা তৈরির প্রক্রিয়াও। বিজ্ঞানীরা বলছেন- এখন প্রয়োজন এঅঞ্চলে একটি খেজুর রিসার্চ সেন্টার। তা’হলেই সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব মধ্য প্রাচ্যের খেজুর চাষ।
লম্বা সারিবদ্ধ খেজুর গাছ। থোকায় থোকায় ঝুলছে মধ্যপ্রাচ্যের ফল খেজুর। কোন গাছে সবুজ, হলুদ আবার কোন গাছে লালচে আকার ধারন করেছে। যা দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা দর্শনার্থী ও স’ানীয়রা। ২০১৪ সালে কুষ্টিয়া ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের কয়েকজন বিজ্ঞানী মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই থেকে নিয়ে আসেন আজওয়া, আম্বার, মারিওয়ম, ডেগলেটনুর, খালাচসহ ১০ টি জাত। চারা তৈরি করে মুজিবনগর কমপ্লেক্সে আড়াই হাজার গাছ লাগানো হয়। মাত্র ৪ বছরের মাথায় ওই সব গাছে আসে ফল। আর্টিফিশিয়াল পরাগায়নের মাধ্যমে বাড়ানো হয়ে গাছের ফল ধারণ ক্ষমতা। পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে নেট দিয়ে আর বৃষ্টির পানি যাতে ফলে না পড়ে সেজন্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে পুরো থোকা। যা দেখে অনেকেই অনুপ্রানিত হচ্ছেন
বিজ্ঞানীরা বলছেন- মধ্যপ্রাচ্যের আবহাওয়ার সাথে এখনকার আবাহাওয়ার মিল না থাকায় এ পর্যায়ে আসতে অনেক প্রতিকুল পরিবেশ পাড়ি দিতে হয়েছে তাদের। তবে ২০ টি গাছে পরিপূর্ন ফল আসায় খুশি তারা। এখন পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে ফলের মিষ্টতা ধরে রাখার। এটি সফল হলে সাকারের মাধ্যমে চারা তৈরি করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
এ চাষ দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে তাজা খেজুরের চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে মধ্যপ্রচ্যের আবহাওয়া ও এখনকার আবহাওয়া এক না হওয়ায় সংরক্ষনের জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী গবেষনার। ফলে এ অঞ্চলে সরকারীভাবে একটি ডেট রিসার্চ সেন্টার তৈরি দাবি জানান তিনি।
দেশে মধ্যপ্রাচ্যের ফল খেজুরেরর আমদানি নির্ভরতা কমাতে হলে সারা দেশে এ ফলের চাষ ছড়িয়ে দেবার আহ্বান বিজ্ঞানীদের।