নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ডাক্তারের ভুলে দাঁত হারালো ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী। উপজেলার ১নং জয়পুর ইউনিয়নের কুমার পাড়া গ্রামের শ্রী অমূল্য রায়ের পুত্র আফতাবগঞ্জ বাজারের শাকিল ডেন্টাল কেয়ারে কিছু দিন কর্মচারী হিসাবে কাজ করে অভিজ্ঞ ডাক্তার সেজে রুগী দেখছেন। ডাক্তার পরিতোষ কুমার রায় নামের এক ভূয়া চিকিৎসক। উপজেলার আফতাবগঞ্জ বাজারের হাইস্কুল রোডে বাহারী ডিস্পেন্সারী, নান্দনিক বিলবোর্ড শোভা পাচ্ছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে, সবুজ ডেন্টাল কেয়ার ডাক্তার পরিতোষ কুমার রায় উপজেলার রহিমাপুর গ্রামের সাবের আলীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত সোমবার বিকেলে তার ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে তাজমিম এর দাঁতের সমস্যা হলে তাকে আফতাবগঞ্জ বাজার ডাক্তার পরিতোষ কুমার রায় এর কাছে নিয়ে আসলে। তাজমিম এর একটি দাঁতের সমস্যা দাঁতটি তুলে ফেলতে গিয়ে তার অপর একটি ভালো দাঁত তুলে ফেলে। ডাক্তার পরিতোষ কুমারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভুলক্রমে দাঁতটি উঠে গেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
ডাক্তার পরিতোষের কাছে কাগজপত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে বলে কাগজ আছে। এখন আপনাকে দেখা যাবে না। রেজিস্ট্রেশনভুক্ত নাই কোন মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করেন নাই। বিল বোর্ডে ও প্রেস্ক্রিপসনে ডাক্তার লেখার অর্থ জানতে চাইলে বলে সবাই লেখে আমিও লিখেছি। পরের পেডগুলোতে আমি ডেন্টিস্ট লিখব। উপজেলার আফতাবগঞ্জ বাজার সহ উপজেলার হাটবাজাররে অনেক বাহারী ডাক্তার পাওয়া যায় যাদের ৬মাসে কোন রকম পল্লী চিকিৎসার ট্রেনিং নিয়ে ডিস্পেনসারী খুলেছে। উপজেলার অনেক ডাক্তার খানা রয়েছে কিন্তু পল্লী চিকিৎসক খুঁজে পাওয়া যাবে না। সবাই ডাক্তার ।
আরও জানা যায় উপজেলার প্রতিটি হাটবাজার এমনকি মুদির দোকান, পানের দোকানেও ওষুধ পাওয়া যায়। দোকানগুলোতে নেশার পরিবর্তে দিচ্ছে কাসের সিরাপ, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেব, ঘুমের ট্যাবলেট তুলে দিচ্ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের হাতে চিন্তিত এলাকার সচেতন মহল। আইনের তোয়াক্কা না করে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাওয়া যাচ্ছে যেকোন ধরণের ঔষধ।
আরও জানা যায় প্রতিটি ফার্মেসিতে ড্রাগ লাইসেন্স। একজন ফার্মাসিস্ট থাকা বাধ্যতামূলক। অনেক ডিস্পেন্সারীর মালিক বোঝেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই অসাধু ব্যবসায়ীদের ও ভুয়া ডাক্তার দের আইনের আওতায় এনে মানুষকে সুস্থ্য রাখার দায়িত্ব প্রশাসনকেই নিতে হবে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মানুষ।