আমিরুল ইসলাম অল্ডাম গাংনী মেহেরপুর : স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও মেহেরপুর জেলা পরিষদের আওতাধীন গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউপির ভোলাডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া গ্রামের রাস্তার পাশের শতবর্ষী বটগাছ কেটে ফেলেছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।সরকারী রাস্তার পার্শ্বের গাছ কেটে সাবাড় করা হলেও প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে উপজেলার ভোলাডাঙ্গা পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত রিয়াজউদ্দীনের ছেলে রফিকুল ইসলাম তার বাড়ীর সামনে শতবর্ষী বটগাছ সরকারী রাস্তার গাছ জেনেও প্রভাব বিস্তার করে অবাধে কেটে উজাড় করেছে।জানা গেছে, প্রশাসনের অগোচরে একটি বড় বটগাছ (যার আনুমানিক মূল্য ৫০-৬০ হাজার টাকা) প্রকাশ্যে কেটে ফেলেছে। রফিকুল ইসলাম নামের একজন প্রভাবশালী রাস্তার গাছ কাটলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস’া নেয়া হয়নি। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অীফসারের নির্দেশে ভূমি অফিসের (সার্ভেয়ার)আমিন সরেজমিনে গিয়ে পরিমাপ করে রাস্তার গাছ বলে রিপোর্ট দিয়েছেন এবং কর্তনকৃত গাছ জব্দ করে স’ানীয় গ্রাম পুলিশের দায়িত্বে রাখা হয়েছে।অন্যদিকে স’ানীয় জরীপকারী আমিন গাছটি মালিকানা জায়গায় বলে মন্তব্য করেছ্ে। পাশাপাশি বন বিভাগের লোকজন সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।এব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা বা এপর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস’া নেয়া হয়নি।
৩দিন আগে ভোলাডাঙ্গা গ্রামে সরকারী রাস্তার পার্শ্বের বটগাছ কাটা হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার দিকে সেখানে গেলে গাছ কাটার দৃশ্য চোখে পড়ে। অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম জানান, এই গাছ আমি ৫-৬ বছর আগে মসজিদ কমিটিকে দান করি। কিন্তু তারা দীর্ঘদিনেও গাছটি কেটে নিতে পারেনি। এদিকে গাছটির কারণে আমার ঘরবাড়ী নষ্ট হচ্ছে।আমি বাড়ী ঘর নির্মাণ করতে পারছি না। বিষয়টি এমপির নজরে আছে। একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী আমতৈল গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে শফি ও একই গ্রামের সেরেগুলের ছেলে শরিফুল ইসলাম শ্রমিক নিয়ে গাছ কেটেছে। আমি কিছুই জানিনা। অথচ শফি ও শরিফুলের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম প্রশাসনের ঝামেলা ্্এড়াতে নিজে গাছ কেটে এদের দুজনের নামে দোষারোপ করছে। সরকারী গাছ কাটতে আপনারা কি অনুমতি নিয়েছেন !এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ও তার পরিবার জানায়, আমাদের বাড়ীর সামনের গাছ আমরাইতো কাটবো। আমরা লাগিয়েছি।এ গাছের মালিকতো আমরা। এতে সরকারের কি?
এনিয়ে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, এসব প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস’া না নেয়া হলে শুধু রাস্তার গাছ নয় এরা অনেক কিছু সাবাড় করে ফেলবে।
এব্যাপারে এমপি মহোদয়ের সাথে বিষয়টি জানতে ফোন দেয়া হলেও একাধিকবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।একইসাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পালের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস’া নেয়া হবে। সরকারী সার্ভেয়ার ও স’ানীয় আমিনকে নিয়ে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সমাধান করা হবে।