নুসরাতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পুলিশের হাতে

নুসরাতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার   : দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন গতকাল শনিবার পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গতকাল শনিবার বিকালে নুসরাতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন শাহবাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শাহবাগ থানা সূত্র জানিয়েছে, গতকাল নুসরাতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেয়েছি। আজ তা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে দিয়ে দেয়া হবে।

গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল

মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে নুসরাতের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। সংকটজনক অবস্থায় ঐ দিনই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে নুসরাত মারা যান। তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যায় বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। পরদিন তার ময়নাতদন্ত করা হয়।

এর আগে নুসরাতকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় নুসরাতকে প্রশাসনিক ভবনের (সাইক্লোন শেল্টার) ছাদে কৌশলে ডেকে নিয়ে তার শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।

নুসরাত হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮ জনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আর ৮ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়াও মামলার ৭ আসামি বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ্দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগি্ন উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, সাইফুর রহমান জোবায়ের, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, উন্মে সুলতানা মনি, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, ইফতেখার উদ্দিন রানা ও এমরান হোসেন মামুন এবং মহিউদ্দিন শাকিল।

হাইমচরে মেঘনায়    আসামি ধরতে পুলিশ অভিযান চালায়। পথিমধ্যে হাইমচর কলেজঘাট এলাকায় মেঘনা নদীর পাড়ে পুলিশকে দেখে জাটকা ধরতে থাকা অসাধু জেলেরা হামলা চালায়। তিনি জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও পুলিশ সদস্য মোশারফ নিখোঁজ রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি ও পুলিশ ও নৌ-পুলিশ নদীতে খোঁজ করলেও এখনও মোশারফকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

 

 

Post a Comment

Previous Post Next Post