ছৈয়দ আন্ওয়ার : দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছালেও তার গতিরোধে দুর্নীতি-অনিয়ম যেন উঠে পড়ে লেগেছে। সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির সফলতা অনেকটা প্রশ্নবিদ্ধ। প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে। সরকারের প্রচেষ্টা এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগ-কার্যক্রমকে যেন দুর্নীতির হোতারা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের কঠিন অভিযানও দুর্নীতিকে রুখতে পারছে বলে মনে হয় না।
নতুন সরকারের নতুন নতুন মন্ত্রীদের নব উদ্যোগ-উদ্দীপনাও থমকে যাচ্ছে। দীর্ঘদিনের শিকড় গজানো দুর্নীতি অনেক গভীরে প্রথিত। এমনই এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ১২ মার্চের প্রথম আলোতে দুদক ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির ৩৩ উৎস’ শিরোনামের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে দুর্নীতির বিভিন্ন ধরন। তার মধ্যে রয়েছে পেনশনের টাকা আটকে রেখে বিভিন্নভাবে তাদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করা। ভুয়া ভ্রমণ ভাতা ও বিনোদন ভাতার বিল পরিশোধের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ ছাড়েও দুর্নীতিতে তারা অনেক দক্ষ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়গুলোতে দুর্নীতির এই ধরনের ৩৩টি সম্ভাব্য উৎস চিহ্নিত করেছে দুদক। শুধু এই সেক্টরেই নয় দেশের এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে দুর্নীতির ঘুন পোকা ঢোকেনি। এমন কি আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যম বিমানবন্দরেও দুর্নীতি আসন গেড়ে বসেছে। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনগণকে।
পুনশ্চ : দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্সের কথা আমরা শুনতে পাই, তার কার্যকর ফলাফল এখনও দৃশ্যমান নয়। আমরা আমজনতা এখনও দুর্নীতি আর অনিয়মের চক্রেই ঘুরপাক খাচ্ছি। দুর্ভোগ আমাদের ভাগ্যলিপি।