সিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব মহাপরিচালক। ছবি: ফোকাস বাংলা
র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, টাকা ছড়িয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে একটি চক্র কাজ করছে। এর মধ্যে আটক তিনজনের মধ্যে একজন হাওয়া ভবনের সাবেক কর্মচারী।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে সিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব মহাপরিচালক। তিনি বলেন, কালো টাকার মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রভাবিত করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।
র্যাব মহাপরিচালক জানান, সবশেষ শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী মিয়া নুরুউদ্দিন অপুকে সাড়ে তিন কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। টাকা পাঠানোর তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে র্যাব। এছাড়া চট্টগ্রামসহ আরও কয়েকটি জেলায় টাকা পাঠানো হয়েছে।
বেনজীর আহমেদ বলেন, দুই মাসে প্রায় দেড় শ কোটি টাকা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে। এর কথিত মালিক মাহমুদের অ্যাকাউন্টে এক মাসে ৭৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মতিঝিলে সিটি সেন্টার থেকে টাকাসহ ব্যবসায়ী আলী হায়দার ও আরো দুজনকে আটক করে র্যাব। আলী হায়দার আমদানি-রফতানি ও ঠিকাদারি কোম্পানি ইউনাইটেড করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার। টাকার সঙ্গে তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত শরীয়তপুর-৩ আসনের অপুর লিফলেট। ছবি: ইত্তেফাক
আটক অন্যরা হলেন- গুলশানের আমেনা এন্টারপ্রাইজের জয়নাল ও ইউনাইটেড কর্পোরেশনের অফিস ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন। এদের মধ্যে জয়নাল একসময় হাওয়া ভবনের সাবেক কর্মচারী ছিলেন।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, আটকদের কাছ থেকে নগদ আট কোটি টাকা এবং ১০ কোটি টাকার চেক পাওয়া গেছে। টাকার সঙ্গে তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত শরীয়তপুর-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মিয়া নূরুদ্দীন আহম্মেদ অপুর লিফলেটও উদ্ধার করা হয়। এরই মধ্যে ১৪ কোটি কালো টাকা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।