বি এম রাকিব হাসান, খুলনা ব্যুরো: খুলনা অঞ্চলের মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি দিন দিন কমছে। উৎপাদন বেশি হলেও বাড়ছে না রপ্তানি। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে হিমায়িত চিংড়ি, হিমায়িত মাছ (মিঠা পানি), হিমায়িত মাছ (সামুদ্রিক), বরফায়িত মাছ (কোল্ড ফিস), জীবন্ত কুঁচে-কাঁকড়া, চিংড়ির খোসা ও অন্যান্য মাছ রপ্তানি কমেছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দপ্তর খুলনা কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ হাজার ২১৭ মেট্রিক টন। যার রপ্তানি মূল্য ছিল ৩৩ কোটি ৬১ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫৬ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা।
২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৯ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। যার মূল্য ৩১ কোটি ১০ লাখ ৮২ হাজার ৮০ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ১০০ কোটি টাকার মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি কম হয়েছে।
মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দপ্তর খুলনার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি আয় কমেছে। ভেনামি চিংড়ির দাম কম হওয়ায় বিদেশে হিমায়িত চিংড়ির চাহিদা কমেছে। আর এজন্য বাগদা চিংড়ির রপ্তানি কমেছে।
এদিকে, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সম্প্রতি খুলনা সার্কিট হাউজে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে জানানো হয়, রূপসা, শিবসা, পশুর, ভদ্রা ও কপোতাক্ষ নদী বিধৌত খুলনা মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশের ষষ্ঠ বৃহত্তর জেলা। ২০১৭ সালে দেশের প্রায় ৫২ হাজার মেট্রিক টন মাছের চাহিদার বিপরীতে এই জেলায় প্রায় ৯৬ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়; যা আগের বছরের তুলনায় সাড়ে চার শতাংশ বেশি। উদ্বৃত্ত প্রায় ৪৫ হাজার মেট্রিক টন মাছ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। এতে অবদান রাখেন প্রায় ৬৩ হাজার মৎস্য চাষি, হ্যাচারি মালিক, মৎস্য ব্যবসায়ী এবং ৪০ হাজার মৎস্যজীবী।