কেবিডিনিউজ ডেস্ক : ঈদ ঘিরে আগের চেয়ে অনেক বেশি নিখুঁত কোটি কোটি টাকার জাল নোট নিয়ে মাঠে নেমেছে জালিয়াত চক্র। ঈদ এলেই তারা সারাদেশে সক্রিয় হয়ে ওঠে। জাল নোট ব্যবসায়ীরা সারাদেশে প্রায় ৫০ কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করেছে বলে গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন। ইতিমধ্যে এক কোটি জাল নোটসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে আরো প্রায় ২-৩ কোটি টাকার জাল নোট তৈরির কাগজ ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। এমন আরো অনেক চক্র রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে নেমেছে। পুলিশ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, জাল নোটের কারবারিদের নিয়ন্ত্রণে বিপাকে পড়েছে প্রশাসন। কারণ ওই চক্রের সদস্যরা বার বার আটক হলেও আইনের ফাঁক ফোকরের কারণে পার পেয়ে যাচ্ছে। ছাড়া পেয়ে আবার শুরু করছে জাল নোটের ব্যবসা। সারা দেশে হাজার হাজার জাল নোটের মামলার সুরাহা হচ্ছে না। আর গ্রেফতার হলেও আইনের ফাঁক গলে সহজেই জামিনে বেরিয়ে আসায় ওসব দিন দিন ওই চক্র আরো বেপরোয়া।
সূত্র জানায়, আসন্ন ঈদ ঘিরে জালিয়াত চক্র যে জাল নোট তৈরি করছে তা আগের চেয়ে অনেক বেশি নিখুঁত। সাধারণ চোখে জাল টাকা বোঝা খুবই কঠিন। তবে আসল টাকা কিছুটা খসখসে এবং জাল টাকা বেশি মসৃণ। জাল টাকায় নিরাপত্তা সুতা স্থাপন করা হচ্ছে। এক লাখ টাকা তৈরি করতে উৎপাদকের খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। ওই টাকা পাইকারি বিক্রেতার কাছে বিক্রি ১ লাখ টাকা ১৪-১৫ হাজার টাকা। পাইকারি বিক্রেতা ১ম খুচরা বিক্রেতার নিকট বিক্রি করে ২০-২৫ হাজার টাকা, ১ম খুচরা বিক্রেতা ২য় খুচরা বিক্রেতার নিকট বিক্রয় করে ৪০-৫০ হাজার টাকায় এবং ২য় খুচরা বিক্রেতা মাঠপর্যায়ে সেই টাকা আসল এক লাখ টাকায় বিক্রি করে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, জাল টাকা বেশিরভাগ কারবারিকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা জেল হাজতে আছে। বর্তমানে যারা বাইরে আছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।