আমিরুল ইসলাম অল্ডাম : মেহেরপুরে প্রচন্ড ঝড় ও শিলা বৃষ্টির কারনে ফসলহানির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিতে গাংনীর ধলাবিল, জোড়পুকুরিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার কিছু কিছু বোরো জমিতে পাকা ধান পানির নিচে হাবুডুবু খাচ্ছে। গাংনীতে এবছর বোরোর বাম্পার ফলনের আশা করা হলেও বৈরী আবহাওয়ার কারনে পাকা ধান ঠিকমত ঘরে তুলতে ক্ষতির আশংকা করছে কৃষকারা। অন্যদিকে উঁচু জমিতেও হাটু পানি উঠে যাওয়ায় গো খাদ্য হিসাবে বিচালী করতে পারছে না চাষীরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকদের মাঝে এবছর বোরো আবাদকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা দেখা গেছ্ে। উপজেলায় কিছু কিছু ধান কাটা শুরু হলেও অধিকাংশ জায়গায় পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। এবছর আবহাওয়া চাষীদের অনুকুলে থাকায় ভালো ফলনের আশা করেছিল চাষীরা। কিন’ বৈরী আবহাওয়ার কারণে সে আশায় ভাটা পড়েছ্ে। অনেকে বৃষ্টির কারনে পাকা ধান কাটতে পারছে না। একদিকে অতিবৃষ্টির কারনে পাকা ধান কাটতে হিমসিম খাচ্ছে অন্যদিকে ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষকরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়েছেন।
ধানচাষী মেহেরপুরের উজলপুর গ্রামের ধানচাষী ইদ্রিস আলী ও গাংনী চৌগাছার জাকির মোল্লা জানান, এবছর মাঠে খুব ভালো ধান হয়েছিল কিন’ একদিকে বৈরী আবহাওয়া, মুনিষের (লেবার) সমস্যা ,উৎপাদন ব্যয় সব মিলিয়ে চাষীদের লাভ হচ্ছে না। অন্যদিকে বর্গা চাষীরা উৎপাদন ব্যয় ,কাটা -মাড়াই বাদ দিয়ে কিছুই থাকছে না বলে জানিয়েছেন।
জেলা কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী জানা গেছে,এবছর উপজেলায় লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে ১৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ হয়েছে। ব্রি-২৮, ৫০, ৫৮, ৬২ জাতের ধান চাষে চাষীরা কাঙ্খিত ফলন পেয়েছে। এখনও উপজেলার পুরো জমিতে এ ধান কাটা শুরু হয়ন্ি। তবে অনেক চাষীদের ধান ক্ষেতে ব্লাষ্ট নামক ছত্রাক কোন কোন জমিতে আক্রমণ করলেও বেশীর ভাগ জমিতে ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। গত মার্চ মাসের শেষের দিকে দুদফা কালবৈশাখী ঝড়, প্রবল ঝড়ে ও শীলা বৃষ্টিতে ধানের পাতা ঝলসে গিয়েছিল।কিছুটা ক্ষতি হলেও মাঠে ধানের অবস’া খুব ভালো আছে।
আমিরুল ইসলাম অল্ডাম