টাকার যত নিন্দা তা থেকেই প্রমাণ হয় যে, জগতে প্রয়োজনীয় জিনিসকেই সকলে নিন্দা করতে ভালোবাসে। ‘মানুষ আপন, টাকা পর, যত পারিস মানুষ ধর’, ‘অর্থই সকল অনর্থের মূল’। _এহেন অনেক নিন্দাই টাকার ভাগ্যে জোটে। আবার সেই টাকা ছাড়া পৃথিবীই অচল। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শুধু টাকারই খেলা। অথচ এই দ্বিমুখী প্রবণতা কিন্তু টাকার নয়, মানুষের। সুতরাং টাকার ব্যবহারে মানুষকে সচেতন হতে হবে। অর্থের যথপোযুক্ত ব্যবহারেই মানুষ সফল-বিফল।
প-িত ব্যক্তিরা টাকার ব্যবহারে চারটি নিয়ম অনুসরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এক. পাওনা-পারত সব আদায় কর। দুই. যত পার সঞ্চয় কর। তিন. দেনা-যতটা পার মিটিয়ে ফেল। চার. যতটা সম্ভব টাকা খাটাও। _এই চারটি নিয়ম মানুষের জীবনকে সুশৃঙ্খল করে। আর এর অন্যথায় যত দুঃখ-দুর্দশা, হানাহানি-মারামারি, সংঘর্ষ-শত্রুতা।
জগতে অর্থের দুটি ধারা_ রোজগার এবং খরচ। টাকা রোজগার করতে লাগে মাথা অর্থাৎ বুদ্ধি। আর খরচ করতে লাগে হৃদয়। রোজগার এবং খরচের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। টাকা কখনোই বিবাদ সৃষ্টি করে না, টাকার ব্যবহারে মানুষের অপরিণামদর্শিতাই তার জন্য দায়ী।
পুনশ্চ ঃ কত রোজগার কর তাতে যত বাহাদুরি। তার চেয়ে ঢের বাহাদুরি কত সঞ্চয় করতে পার, তাতে। টাকা রোজগার, সঞ্চয় এবং খরচে সচেতনতাই মানুষকে পরিশীলিত করে।