যশোর শহরে বোমা মেরে ও কুপিয়ে জেলা তরুণ লীগের এক নেতাকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পালবাড়ি ভাস্কর্যের মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মনিরুল ইসলাম (৩৮)। তিনি যশোর জেলা তরুণ লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। মনিরুলের বাসা শহরের পুলিশ লাইন টালিখোলা এলাকায়। বাবার নাম ফজলুর রহমান।
একই সময় দুর্বৃত্তের বোমা হামলায় আহত হয়েছেন সন্তোষ ঘোষ (৩৬) নামের এক ব্যক্তি। তিনি যুবলীগের কর্মী। আহত সন্তোষ ঘোষের বাসা শহরের পুরাতন কসবা ঘোষপাড়া এলাকায়। তাঁরা বাবা নারায়ণ ঘোষ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে মনিরুল ও সন্তোষ পালবাড়ি মোড়ে ছিলেন। এ সময় একই এলাকার সাত–আটজন সন্ত্রাসী তাঁদের লক্ষ্য করে কয়েকটি বোমা ছোড়ে। বোমার আঘাতে মনিরুলের মাথাসহ শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। এরপর সন্ত্রাসীরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। সন্তোষ বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হন।
সন্ত্রাসীরা চলে গেলে স্থানীয় লোকজন মনিরুল ও সন্তোষকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মনিরুল মারা যান। গুরুতর আহত সন্তোষকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘পালবাড়ি মোড়ে সন্ত্রাসীরা বোমা মেরে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মনিরুলকে হত্যা করেছে। কারা কী কারণে তাঁকে হত্যা করেছে, তা জানা যায়নি। তবে স্থানীয় আধিপত্যের জেরে প্রতিপক্ষের হাতে তিনি খুন হতে পারেন।’
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ হাসান বলেন, ‘মনিরুল জেলা তরুণ লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। বড় বড় মিছিল নিয়ে তিনি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতেন।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগের নেতৃত্বে স্থানীয় সাংসদ কাজী নাবিল আহমেদ। অপর অংশের নেতৃত্বে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার। নিহত মনিরুল ও আহত সন্তোষ শাহীন চাকলাদারের অনুসারী ছিলেন।