শীতলক্ষ্যায় ভাসছে বস্তাবন্দী লাশ। কেবিডিনিউজ ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলার চতুর্থ বার্ষিকী আজ শুক্রবার। এ মামলায় নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ অন্য ঘাতকদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দেওয়া রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি স্বজদের।
জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মুঠোফোনে কেবিডিনিউজ কে জানান, সাত খুনের মামলায় গত বছরের ২২ আগস্ট উচ্চ আদালতের দেওয়া রায়ের কপি এখনো পাওয়া যায়নি। যেহেতু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা এবং এখানে ১৫ জন আসামির ফাঁসির আদেশ হয়েছে; এ কারণে রায়টি প্রস্তুত করতে সময় লাগছে। যেহেতু আসামিরা এখনো রায়ের কপি পাননি; এ কারণে তাঁরা আপিল করতে পারেননি।
সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন। কেবিডিনিউজ ফাইল ছবি
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী মধ্যপাড়া এলাকার সাত খুনের ঘটনায় নিহত মনিরুজ্জামানের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী সামসুন নাহারের বাড়িতে গিয়ে স্বামীর কথা জিজ্ঞেস করতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর মৃত্যুর দুই মাস পর আমার কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। স্বামীকে হারিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি চাই, নূর হোসেনসহ ঘাতকদের বিরুদ্ধে দেওয়া রায় সুপ্রিম কোর্টেও যাতে বহাল থাকে। আমরা চাই, এই সরকারের আমলেই ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হোক।’
সাত খুন মামলার অন্যতম আসামি সাবেক র্যাব অধিনায়ক তারেক সাঈদ। কেবিডিনিউজ ছবি
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের লামাপাড়া এলাকা থেকে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।
২০১৬ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আলোচিত মামলার রায়ে র্যাব-১১-এর সাবেক তিন কর্মকর্তা, সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পরে উচ্চ আদালত ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল এবং ১১ জনের যাবজ্জীবন ও ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা বহাল রাখেন।