বি এম রাকিব হাসান,খুলনা ব্যুরো: পাটকলগুলো সূত্রে জানা যায়, খুলনা অঞ্চলের ৯টি পাটকলে ৫ হাজার ১০৯টি তাঁত রয়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারির তথ্যানুযায়ী, ৪ হাজার ২শ’টি বাজেটের তাঁত চালু থাকার কথা। কিন’ চালু রয়েছে মাত্র ২ হাজার ৬৭২টি তাঁত। বাজেটে মোট চাহিদার ১ হাজার ৫২৮টি তাঁতই বন্ধ রয়েছে।
এর মধে প্ল্লাটিনাম জুট মিলে বাজেটের ৮১৪টি তাঁতের মধ্যে ৫২৮টি, ক্রিসেন্ট জুট মিলে ১ হাজার ৭৩টি তাঁতের মধ্যে ৬৯৮টি, খালিশপুর জুট মিলে ৬৭৯টি তাঁতের মধ্যে ৩৯৫টি, স্টার জুট মিলে ৫৫২ টি তাঁতের মধ্যে ৩৯৯টি, দৌলতপুর জুট মিলে ১৮১টি তাঁতের মধ্যে ৫৫টি, আলিম জুট মিলের ১৯৩টি তাঁতের মধ্যে ৭৮টি, ইস্টার্ণ জুট মিলের ২৪৩টি তাঁতের মধ্যে ১৭২টি, কার্পেটিং জুট মিলের ৭০টি তাঁতের মধ্যে ৬৯টি, জেজেআই জুট মিলের ৩৩৯টি তাঁতের মধ্যে ২৭৮টি তাঁত চালু রয়েছে।
প্ল্লাটিনাম ও ক্রিসেন্ট জুট মিলের শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মিলের মেশিনগুলো পুরাতন হওয়ায় এগুলো থেকে পরিপূর্ণ উৎপাদন হচ্ছে না। এছাড়া মাঝে মধ্যেই মেশিনগুলো বিকল হয়ে যায়। পরে খুচরা যন্ত্রাংশ লাগিয়ে তা ঠিক করে পুনরায় চালাতে হয়।
শ্রমিকরা আরো জানায়, মিলে অসংখ্য তাঁত একেবারে বিকল হয়ে গেছে। যা দিয়ে উৎপাদন সম্ভব নয়। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে গড়ে ওঠা এসব মিলের মেশিনগুলো কখনো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। ফলে উৎপাদন কমেছে, কমেছে শ্রমিকদের মজুরী।
প্ল্লাটিনাম জুট মিলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান বলেন, মিলের তাঁতগুলো দীর্ঘদিনের পুরাতন। এসব মেশিন বিএমআরই করা প্রয়োজন। একই সুরে কথা বলেন, ইস্টার্ণ জুট মিলের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন।
ক্রিসেন্ট জুট মিলের প্রকল্প প্রধান আবুল কালাম হাজারী বলেন, পুরাতন মেশিনে উৎপান সক্ষমতা কমেছে। মেশিনগুলো বিএমআরই ও মেইনট্যানেন্স করা দরকার। এ লক্ষে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
খুলনার প্লাটিনাম জুট মিলের প্রকল্প প্রধান মোঃ বনিজ উদ্দিন মিঞা জানান, মিলের তাঁতগুলো ৬০ বছরের বেশি পুরনো। মিল প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিএমআরই করা হয়নি। তবে বর্তমান সরকার মিলটি বিএমআরই করার উদ্যোগ নিয়েছে। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিজেএমসির এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম অঞ্চলের দু-একটি মিলে আধুনিক মেশিনে বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন হলেও খুলনা অঞ্চলে তা নেই।