উদ্ধারকৃত ২শ’ লিটার চোলাইমদসহ মদ তৈরীর উপকরণ
কুষ্টিয়া থেকে শরিফ মাহমুদ : কুষ্টিয়ায় এক চোলাইমদের কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়। সেখান থেকে চোলাইমদ ও চোলাইমদ তৈরীর উপকরণ ওয়াশ উদ্ধার হলেও মূল হোতা আবু সামা বা কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের দোস্তপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল মন্ডলের পুত্র আবু সামা(৫০) তার নিজ বাড়িতে চোলাইমদের কারখান বসিয়ে এ মদের ব্যবস্যা চালিয়ে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রোবার সকালে সামা’র বসতবাড়িতে অভিযান চালায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের উপরিদর্শক তারিক মাহমুদসহ সদস্যরা।
এ সময় আবু সামা’র বসতঘর থেকে ১০ লিটার চোলাইমদ এবং ২০০ লিটার চোলাইমদ তৈরীর উপকরন ওয়াশ উদ্ধার করা হয় । কিন’ চতুর মাদক ব্যবসায়ী আবু সামা(৫০)পলাতক থাকায় তাকে আটক করতে পারেনি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আবু সামা দীর্ঘদিন ধরে তার নিজ বাড়িতে চোলাইমদের কারখানা খুলে রমরমা এ মদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তার বাড়িতে তৈরী মদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন এলাকার ক্রেতা। দিনে দুপুরে ওই সব ক্রেতাদের সামার বাড়িতে চলে অবাধে যাতায়াত। রাতে সামার বাড়িতে চলে স’ানীয় ও আশপাশ থেকে আসা বিভিন্ন বয়সী মাদক সেবীদের আড্ডা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সামার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি । যে কারনে ইতিপূর্বে তাকে মাদকসহ আটক করলেও পরে কোন জেল জরিমানা ছাড়াই তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। ফিরে এসে সে আবার আগের অবৈধ মদের ব্যবসা চালাতে থাকে। মাদক ব্যবসায়ী আবু সামা সে স’ানীয় পুলিশ ফাঁড়ি কে ম্যানেজ করে তার এই অবৈধ ব্যবসা চালায় এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোন লাভ হবে বলে উল্টো স’ানীয়দের হুকমী দেয় বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে কথা হয় জেলা মাদক নিয়ন্ত্রন কার্যালয়ের উপরিদর্শক তারিক মাহমুদের সাথে, তিনি জানান, যেখানে মাদক সেখানে আমাদের অভিযান চলবে। মাদক ব্যবসায়ী আবু সামা আজ পলাতক থাকায় তাকে আটক করতে পারিনি। তবে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতারে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
আসামী আবু সামার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। মামলা নং-১৫। তারিখ:১১/০২/১৮ ইং।