বারী উদ্দিন আহমেদ বাবর, কুমিল্লা প্রতিনিধি॥কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার মালখানা থেকে মাদক বিক্রি ও ডিবি পুলিশ পরিচয়ে পল্লী চিকিৎসককে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে থানার দুই এসআইসহ ৫ জনকে জেলা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া থানার এক পরিচ্ছন্নকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আলমগীর হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, এএসপি হেডকোয়ার্টার মো. আমিরুল্লাহ ও কোর্ট ইন্সপেক্টর সুব্রত ব্যানার্জী। আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ-আল মামুন।
সূত্র জানায়, পুলিশ কর্তাদের সহায়তায় কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার মালখানা থেকে সালাহ উদ্দিন নামের এক পরিচ্ছন্নকর্মী মাদকদ্রব্য বিক্রি করেন বলে অভিযোগ উঠে। একটি সংবাদপত্রের অনলাইন সংস্করনে ‘থানায় মাদকের হাট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর পরই বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় পুলিশ। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরীর গর্জনখোলায় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদা দাবি করেন কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার দুই এএসআই দুলাল ও মনির। চাঁদা না দিলে তারা তাকে অপহরণের চেষ্টা করেন।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ-আল মামুন জানান, মাদকের ঘটনায় থানার মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই আহসান হাবিব, থানার অপারেশন অফিসার এসআই তপন বকশী এবং কনস্টেবল তানভীরকে এবং ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদা দাবি ও অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে এএসআই দুলাল ও মনিরকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।