গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় প্রেস ক্লাব মোল্লাহাটে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার কামার গ্রামের মৃত পুলিন হীরার পুত্র দুলাল চন্দ্র হীরা লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে জানান-তার আপন ভাই শরৎ চন্দ্র হীরা প্রায় ২৭/২৮ বছর পূর্বে নিখোজ হণ। উক্ত শরৎ চন্দ্র হীরা পরবর্তীতে আর ফিরে না আসায়/কোন খোজ না পাওয়ায় একমাত্র উত্তরাধিকারী হিসেবে পৈত্রিক ভিটা-মাটিতে পরিবারের সকলকে নিয়ে বসবাস করছেন দরিদ্র কৃষক দুলাল চন্দ্র হীরা। উক্ত নিখোজের সুযোগে একই গ্রামের মহারাজ মন্ডলের পুত্র নির্মল চন্দ্র মন্ডল ও মিরাজ সেখের স্ত্রী মাজেদা খানম জালিয়াতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে মাধ্যমে তাদেরকে/পরিবারটিকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করে। উক্ত ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় নিখোজ শরৎ চন্দ্র হীরার পুত্র পরিচয়ে অস্তিত্ব বিহীন শাওন কান্তি হীরা ভূয়া এনআইডি নং ১৯৯৩০১১৫৬১৭০০০০৯৫’কে দাতা সাজিয়ে একটি পাওয়ার অফ এ্যাটর্নী দলিল সম্পাদন করা হয়। যার নং ২৫৪৪/১৭, তাং-২৭/১২/১৭ ইং, সাব-রেজিঃ অফিস, মোল্লাহাট, বাগেরহাট। উক্ত দলিলের গ্রহীতা নির্মল চন্দ্র মন্ডল ও মাজেদা খানম’র পিতা ইলিয়াসসহ কয়েক জন সম্প্রতি দুলাল চন্দ্র হীরার বাড়ীতে ঢুকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র লূট ও ভাংচুর করে। এছাড়া ওই পরিবারের কয়েক সদস্যকে মারপিট করে বাস্তবাড়ী থেকে উচ্ছেদ চেষ্টা করে। এক পর্যায় এলাকাবাসী ছুটে আসায় জবর দখল ও উচ্ছেদ চেষ্টায় ব্যার্থ হয় তারা। উক্ত দুলাল চন্দ্র হীরা আরো জানান-নির্মল চন্দ্র মন্ডল প্রকৃত পক্ষে একজন জালিয়াত ও সন্ত্রাসী চরিত্রের লোক। জঘণ্য কর্মকান্ড তার পেশা ও নেশা। ওই গ্রামের অপর একটি পরিবারের এক মহিলার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে প্রতারনার মাধ্যমে তাদের’কে এ দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে সে। তাছাড়া নিজের শালাবউ হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ ও রয়েছে নির্মল চন্দ্র মন্ডলের বিরুদ্ধে। এমনকি অপরাধের বেলায় সে কোন জাতি-ধর্ম বিবেচনা করে না। উক্ত নির্মল চন্দ্র মন্ডলসহ ঘটনা সমূহে জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন বলেও জানান দুলাল চন্দ্র হীরা। তিনি আরো বলেন-উক্ত জাল দলিলে ব্যাহৃত এনআইডি একই উপজেলার ভান্ডারখোলা গ্রামের সুখ মোল্লার পুত্র লিটন মোল্লার। তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদে বসবাস ও অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস’ক্ষেপ কামান করেছেন।
###############