আমিরুল ইসলাম অল্ডাম: গাংনী উপজেলার বাদিয়াপাড়া গ্রাম। ঐ গ্রামের একজন চিহ্নিত প্রতারক, ঠক, বাটপার আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন। একজন নিরীহ ,নির্দোষ লোকের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।নিজের অপকর্ম,অর্থ আত্মসাতের ঘটনা আড়াল করতে বাদিয়াপাড়ার হুমায়ন কবীরের ছেলে মাসুদ পারভেজ (চাকরিচ্যুত সেনা সদস্য) এর যোগসাজশে এই মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাদিয়াপাড়ার মাসুদ পারভেজ সেনা সদস্য হিসাবে চাকরির সুবাদে এলাকার বহু লোককে চাকরি দেয়া এবং বিদেশে পাঠানোর নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে মাঝে মাঝে আত্মগোপন করে থাকতো। একপর্যায়ে অভিযোগের কারনে তার চাকরি চলে গেলে প্রতারক মাসুদ পারভেজ পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকার ধামরাই থানার অন্তর্গত বাগনগর গ্রামে বসবাস শুরু করে। পাওনাদারদের চক্ষুর আড়ালে বসে মাসুদ বিদেশে লোক পাঠানোর ফাঁদ পেতে বহু লোককে পথে বসিয়েছে। এমনকি বসবাসের ঐ বাসার উপর তলায় বসবাসকারী আতাউর রহমানকে বিদেশে পাঠানোর জন্য সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার চুক্তি সম্পাদন করে। ঐ লোককে সৌদি আরবে পাঠাতে ব্যর্থ হলে আতাউরের চাপের মুখে নিজের দোষ নিজ গ্রাম অর্থ্যাৎ বাদিয়াপাড়ার প্রতিপক্ষ মৃত আঃ কাদের বিশ্বাসের ছেলে রবিউল ইসলাম ও মৃত আঃ লতিফের ছেলে নাজমূলকে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা ও সাক্ষী সাজিয়ে ঢাকার বিজ্ঞ মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ১২ জুন,২০১৭ ইং তারিখে মামলা দায়ের করে। অথচ উক্ত বিবাদী দুজন কখনো ঢাকাতে বসবাস করেন না বা আদম ব্যবসার সাথে জড়িত থাকে না।তাছাড়া অঙ্গীকার নামার যে স্বাক্ষর রয়েছে তা রবিউল ইসলাম ও নাজমূলের সাক্ষর নয়। ৩ পাতায় ৩ রকমের স্বাক্ষর রয়েছে। মাসুদ পারভেজ অভিসন্ধি মূলক এই স্বাক্ষর করে মিথ্যা মামলা করেছেন। যার সি,আর মামলা নং-৭০৬।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামী দুজন বর্তমানে ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার অন্তর্গত সেক্টর-০৫, রোড নং-০২ বাসা নং ১৫ (৪র্থ তলা)বসবাস করে । আসলে এরা কখনো ঢাকার ঐ বাসায় কখনো ছিলেন না।
আরও জানা গেছে, মাসুদ পারভেজ চাকরী দেয়ার নামে গাংনী উপজেলার বামন্দী গ্রামের শাহজামালের নিকট থেকে ৫ লাখ টাকা, কামদেবপুরের ৩ জনের নিকট থেকে ৪ লাখ টাকা করে এবং গাংনী থানার এস্আই জয়নাল আবেদীনের নিকট থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণা করে আত্মসাত করেছেন।বর্তমানে সে ফেরারী জীবন যাপন করছে। বাড়ীতে থাকতে পারে না।