স্টাফরিপোটার : মেহেরপুরে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শ্রী তাপস কুমার কর্মকারকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার অপর ৫ আসামির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমান না হওয়ায় আদালত তাদের বে-কসুর খালাস দেন। আজ সোমবার বিকেল ৩ টার দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাঃ গাজী রহমান ওই আদেশ দেন। দন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি শ্রী তাপস কুমার কর্মকার মেহেরপুর শহরের বেড়পাড়ার শ্রী আশিস কুমার কর্মকারের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, মেহেরপুর শহরের বেড়পাড়ার আজিজুল হকের কন্যা ২০১০ সালের ১৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে গেলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আসামি শ্রী তাপস কুমার কর্মকারসহ অন্যান্যরা তাকে জাপটে ধরে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ ও অপহরণ ও বিদেশে পাচারের চেষ্ট করে। তার ডাক চিৎকারে সাক্ষীরা ঘটনাস’লে উপসি’ত হলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আজিজুল হক বাদি হয়ে একই বছরের ৭ নভেম্বর শ্রী তাপস কুমার কর্মকারসহ মোট ৬ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ৭/৩০ ধারায় (অপহরণ ও সহায়তা করার অপরাধ) মেহেপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ০৩। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেরপুর সদর থানার সাবেক সেকেন্ড অফিসার এসআই আবু জিহাদ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন। মামলায় মোট ১০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথি বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞ বিচারক ওই রায় দেন।
মামলায় সরকার পক্ষের কৌসুলি ছিলেন পিপি অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য ও আসামি পক্ষের কৌসুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা।