স্টাফরিপোটার ঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের সহড়াবাড়িয়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে কলিম উদ্দীন (৩৮) নামের এক ভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে গাংনী থানা পুলিশ।
কলিম উদ্দীন গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের গাইনপাড়া এলাকার মৃত জোয়াদ আলীর ছেলে। বর্তমানে ষোলটাকা ইউনিয়নের সহড়াবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের বাড়িতে ঘর জামাই হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন।
আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) বেলা ২ টার সময় সহড়বাড়িয়া গ্রামের মাছ চাষী শরীফুল ইসলামের নোনার বিলের খামারী মাঠের একটি পুকুর থেকে তার বিবস্ত্র ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশ।
গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারনা করছেন পুলিশ।
এর আগে বেলা দেড়টার দিকে স’ানীয় ব্যক্তিরা গাছের ডাল কাটতে গিয়ে কলিম উদ্দীনের ভাসমান মরদেহ দেখে গাংনী থানা পুলিশকে খবর দেন।
নিহত কলিম উদ্দীনের স্ত্রী বিলকিছ খাতুন জানান, ২ সন্তানের জনক কলিম উদ্দীন তার বড় ভাই ছলিম উদ্দীনের সাথে বিবাদ করে প্রায় ৮ মাস আগে মহাম্মদপুর গ্রাম ছেড়ে চলে আসে আমার বাবার বাড়িতে। আজ থেকে ২২ দিন আগে আমার চাচাতো দুলা ভাই উপজেলার কুঠি ভাটপাড়া গ্রামের খোকন হোসেনের একটি ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়। কিছুদিন আগে একবার বাড়ি ফিরে আবারো লাপাত্তা হয়ে গিয়েছিলো। আজ পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর আমার স্বামীর লাশ সনাক্ত করি।
বিলকিছ খাতুন আরো জানান, তার স্বামীর নামে ঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে এর আগে থানায় মামলা ছিলো।
ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস’ল পরিদর্শন করেছেন।ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর সোমবার সকালের দিকে একই উপজেলার সীমান্তবর্তি কাজীপুর গ্রামের বাদিয়াপাড়ার দাইদির মাঠ থেকে অজ্ঞাত যুবকের মস্তক বিহীন বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর ত্রিশ ঘন্টা পর আবারো বিবস্ত্র লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।