মামলার বাদী বরগুনা পৌরসভার শহীদ স্মৃতি সড়কের মৃত. রাম চরণ ধুপির ছেলে সুধীর দাস বলেন, বরগুনা কড়ইতলা মাইঠা মৌজার এসএ ২৮৯ খতিয়ানের ২১০/২১১/২১২/২৩১ দাগে তার পৈত্রিক ২ একর ২৫ শতাংশ সম্পত্তি প্রায় ২০ বছর পূর্বে গণপূর্ত বিভাগ হুকুম দখল করে। সরকার জমি নেয়ার পর কিছু জমি পতিত থেকে যায়। ঐ জমিতে বাদীসহসহ ১৫ পরিবার দুই যুগের বেশি পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে। পতিত জমি ফেরৎ চেয়ে বাদী পক্ষ বরগুনা জেলা প্রশাসক বরাবরে ১৯৯৭ সালের ১২ মে আবেদন করে। জেলা প্রশাসক ভূমি মন্ত্রণুালয় ২০০০ সালের ৯ জুলাই একটি প্রতিবেদন পাঠায়। ভূমি মন্ত্রণালয় বরগুনা জেলা প্রশাসকের কাছে মতামত চায়। জেলা প্রশাসক ১৯৯৭ সালের ২০ মে গণপূর্ত বিভাগের কাছে তাদের মতামত চায়। তারা ঐ সময় ডিসিকে মতামত দেন ঐ পতিত জমি তাদের কাজে লাগে না। ডিসি ২০০০ সালের ৯ জুলাই ভূমি মন্ত্রণালয় মতামত দেয়। জমি ক্ষতিপূরন গ্রহণ পূর্বক পূর্ববর্তী মালিককে ফেরৎ দেয়া যায়। ভূমি মন্ত্রণালয় ২০০১ সালে ১৪ ডিসেম্বর বরগুনার জেলা প্রশাসককে পত্র দ্বারা জানিয়ে দেয় ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করে পূর্ববর্তী মালিককে জমির দখল বুঝিয়ে দিতে। বাদী ঐ জমিতে সরকারের খাজনাদি পরিশোধ করে নির্বিঘ্নে বসবাস করতে থাকেন। ঐ পতিত জমিতে কিছু অবৈধ দখলদার থাকেন। তাদের উচ্ছেদ করার জন্য বাদী পক্ষ ২০০০ সালে বরগুনা সহকারী জজ আদালতে একটি উচ্ছেদের মামলা করে। সেই মামলায় উল্লেখিত আসামীরা সরকারের অনুমতি ব্যতিত পক্ষভুক্ত হয়। আদালত তাদের পক্ষভুক্ত খারিজ করে দেয়। আসামি নির্বাহী প্রকৌশলী সহকারী জজের আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে সরকারের অনুমতি ছাড়া ২০১৬ সালে একটি রিট মামলা করে। হাইকোর্টে আসামি পক্ষ হেরে যায়। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টার সময় ঐ তিনজন আসামী বরগুনা গণপূর্ত বিভাগের ডাক বাংলোতে বাদী সুধীর দাসকে ডেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। আসামিদের দাবিকৃত ২০ লাখ টাকা না দিলে বাদী পক্ষকে জমি থেকে উচ্ছেদ করবে বলেন হুমকি দেয়া হয়। এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু জাফর তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি সরকারের জমি রক্ষা করতে মামলায় জড়িত হয়েছি। তবে আমি কারো কাছে ঘুষ দাবি করিনি।
বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির মামলা করেছে স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে। মামলার আসামিরা হলেন, বরগুনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু জাফর, একই অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মো. মারুফ হোসেন ও উচ্চমান সহকারী মো. ওয়ালি উল্লাহ অলি। গত বৃহস্পতিবার বরগুনার সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাসানুজ্জামান মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।