নওগাঁ থেকে আবু বকর সিদ্দিক : চলতি মৌসুমে নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকার সাপাহারে গত বছরের তুলনায় আলু চাষে কিছুটা হলেও উদ্বুদ্ধ হয়েছে আলু চাষিরা। বর্তমান সময়ে এই উপজেলায় আলু চাষের প্রতি কৃষকেরা অনীহা প্রকাশ করলেও কিছু কিছু কৃষক আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরে সাপাহার উপজেলায় আলু চাষ হয়েছিল ১২৫০ হেক্টর জমিতে এবং গড় ফলন হয়েছিল ১৩ মেট্রিক টন। যা এই উপজেলার জন্য অত্যন্ত নগণ্য ফলন। চলতি মৌসুমে কিছু কৃষক আলু চাষের প্রতি গুরুত্ব দেয়ার ফলে এ বছরে প্রায় ১৩০০ হেক্টর জমিতে ১৩ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হতে পারে বলে ধারণা করছে উপজেলা কৃষি অফিস। সাপাহার উপজেলায় আলুর স্বল্প চাষের কারণ জানতে চাওয়া হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএফএম গোলাম ফারুক এ প্রতিবেদককে জানান, অন্যান্য উপজেলার তুলনায় সাপাহার উপজেলার মাটি আলু চাষে সে রকম উপযোগী নয় যার কারনে আমরা আলু চাষের প্রতি খুব একটা গুরুত্বারোপ করছি না। এ অঞ্চলের মাটি কিছুটা এঁটেল হওয়ার কারণে আলুর বাড়ন্ত ক্ষমতা অনেক কম যার কারণে অনেক সময় কৃষকেরা লোকসানের সম্মুখীন হন। এ কারণে আমরা গম ও বিভিন্ন ডাল চাষের প্রতি গুরুত্ব রেখে কাজ করে যাচ্ছি। আর বিশেষ করে গম ও কালাই এক সেচে অধিক ফলন হওয়ার কারণে কৃষকেরাও সেসব ফসল চাষে ঝুঁকে পড়েছে। গত বছর এই উপজেলায় গমের চাষ হয়েছিল ৯ হাজার হেক্টর জমিতে যার তুলনায় আলু চাষ অত্যন্ত কম। এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, এই অঞ্চলের মাটি, পানি ও আবহাওয়া আলু চাষে অনুকূল না হওয়ার ফলে তারা আলু চাষে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। আর বিশেষ করে উপজেলার প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হওয়ার ফলে সেসব জমিতে অন্য ফসল আবাদে অনেকটা প্রতিকূলতা দেখা দেয়। বর্তমান সময়ে আম, গম ও বিভিন্ন জাতের কালাইয়ের আবাদের ফলে ও মাটি, আবহাওয়া ও জলবায়ুর প্রতিকূলতায় আলু চাষ কমে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন এলাকার কৃষকরা।