মাদ্রাসা ছাত্র মাহমুদুল হাসানকে (২০) কে হত্যার দায়ে: ৫ জনের যাবজ্জীবন

হত্যার দায়ে

শেরপুরে মাদ্রাসা ছাত্র মাহমুদুল হাসানকে (২০) হত্যার দায়ে দুই সহোদরসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ড প্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

শেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. আওলাদ হোসেন ভূইয়া আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন।

নিহত মাহমুদুল হাসান সদর উপজেলার চরভাবনা নামাপাড়া গ্রামের মাওলানা আজিজুর রহমানের ছেলে ও স্থানীয় কওমি মাদ্রাসার খারিজী শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

অপরদিকে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন দুই ভাই আব্দুল মুন্নাফ (৪০) ও আব্দুল মোতালেব (৪৫) এবং হাফিজুর রহমান (৩৮), সৈয়দ জামান (৬৫) ও শরিফুল ইসলাম (৩৪)। এঁদের সবার বাড়ি শেরপুরের সদর উপজেলার চরভাবনা গ্রামে। রায় ঘোষণার সময় সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১৫ এপ্রিল সকালে ধান খেতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে আজিজুর রহমানের ছেলে আরিফ রব্বানীর সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বাদানুবাদ হয়। এ সময় আরিফ রব্বানীর ছোট ভাই মাদ্রাসাছাত্র মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে আসামিরা লাঠি দিয়ে ও কিলঘুষি মেরে মাহমুদুলকে গুরুতর জখম করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরিফ রব্বানী সাতজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ১৭ জুন সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) সজীব দত্ত ৭ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের বর্তমান ডিআইজি ও শেরপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার নিবাস চন্দ্র মাঝি মামলাটির তদন্ত কার্যক্রমের তদারকি করেন। মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায় অভিযুক্ত দুই আসামি সুরুজ্জামান ও মোকছেদ আলী মারা যান।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) চন্দন কুমার পাল বলেন, তাঁরা ন্যায় বিচার পেয়েছেন।

নারায়ণ হোড় কেবিডিনিউজকে বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post