উত্তরায় ইনডিপেন্ডেন্ট স্কুলের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে খোলা আকাশের নিচে
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ইনডিপেন্ডেন্ট স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে। আবহাওয়া বিরূপ হলেও ব্যাঘাত ঘটেনি পড়ালেখার। এতে ছাত্র-অবিভাবক এবং শিক্ষকরা বিরক্ত হলেও দুর্ভোগ লাঘবে কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
জানা গেছে, গত শুক্রবার মধ্যরাতে ইনডিপেন্ডেন্ট স্কুলের কথিত বাড়ির মালিক সাহাবুদ্দিন উত্তরা পশ্চিম থানার ওসির
সহযোগিতায় এবং ১৪ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি শাহ্ আলমের নেতৃত্বে বেশকিছু বখাটে স্কুলটিতে হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাঝরাতে স্কুলের নিরাপত্তা প্রহরীকে হাত-পাঁ বেঁধে স্কুলের ভেতর ভাংচুর করে। এসময় স্কুলের মূল গেটসহ সব সাইনবোর্ড ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে কেচি গেটের তালা ভেঙে অধ্যক্ষ, শিক্ষক রুম, অফিস রুমসহ স্কুলের অন্যান্য ১০-১২টি ক্লাস রুমের সব চেয়ার টেবিল, ১৫টি কম্পিউটার, আলমারি, বই-পুস্তক ও অন্যান্য কোর্স মেটারিয়াল ধ্বংস করে। বর্তমানে স্কুলের নিচ তলায় কিছু ভাঙাচোরা চেয়ার টেবিল এলোমেলোভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
অভিভাবকরা জানান, এ ঘটনায় হুমকির মুখে পড়েছে স্কুলের প্রায় দেড়শ’ শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষা। দ্রুত এর সমাধান না হলে ১টি বছর নষ্ট হতে পারে এই শিক্ষার্থীদের। এসব শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আগামী শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ভবনটি ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
দেশের প্রথম ন্যাশনাল কারিকুলাম এ চালিত ইংলিশ ভার্সন স্কুলটি ২০১৩ থেকে ৪ বছর অত্যন্ত সকলতার সাথে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ এমন ১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার জন্য কতিপয় শিক্ষা ব্যবসায়ী এবং দালাল চক্র উঠেপড়ে লেগেছে।
ইনডিপেন্ডেন্ট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ নাজমা আরিফ জানান, ঘটনার পর উত্তরা পশ্চিম থানায় গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার বিবরণ শুনে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দিলেও এক সপ্তাহে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। হামলার ঘটনাটি জেনেও কোনো অভিযোগ বা এজাহার হিসেবে না নিয়ে থানায় শুধুমাত্র সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নিয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হামলার সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছেন।
স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসীসহ সকলের প্রত্যাশা, এসব প্রতিষ্ঠানকে কতিপয় শিক্ষা ব্যবসায়ী এবং দালাল চক্রের হাত থেকে রক্ষা করে অবিলম্বে স্কুলের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহযোগিতা করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।