স্টাফরিপোটার: মেহেরপুরে মাদক মামলায় আলমগীর হোসেনের ১৪ বছর, আবু শাহেদের ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই মামলায় শাহেদ আহামেদ পিন্টু নামের অপর এক ব্যাক্তির ১০ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। তবে দন্ডিত আসামীর সবাই পলাতক রয়েছে। গত রোববার মেহেরপুরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ তাজুল ইসলাম এ আদেশ দেন। দন্ডিত আলমগীর হোসেন পাবনা জেলার ভাঙ্গা উপজেলার সরুটিয়া গ্রামের মহির উদ্দিন, আবু শাহেদ একই উপজেলার নুরপুর গ্রামের এসকেন পরামানিকের ও পিন্টু শরিফুল ইসলামের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর গোপন সুত্রে খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু জাহিদ শহরের শাজাহীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করেন। পরে তাদের কাছে থাকা ট্রাক তল্লাসী করে ২শ’ ২৪ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়। সদর থানার তৎকালীন ওসি রবিউল ইসলাম মামলায় তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলায় ৬ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। আদালতের বিচারক সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে ওই আদেশ দেন। মামলায় রাষ্ট্র পক্ষে সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এসএম রুস্তম আলী এবং আসামি পক্ষে অ্যাড. মারুফ আহামেদ বিজন, অ্যাড. রফিকুল ইসলাম আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।