গাংনীতে প্রশাসন পরিচয়ে ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামান জীবননগর থেকে গ্রেফতার

গাংনীতে প্রশাসন

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম:  দীর্ঘ ৪ দিন পর প্রশাসন পরিচয়ে অপহরণ হওয়া ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামানকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা পুলিশ দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার দেখিয়েছে।
হাসানুজ্জামান গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য ও চাঁদপুর গ্রামের মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে।
জীবননগর থানার ওসি এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ভোররাতের দিতে জীবননগর উপজেলার উথুলি গ্রামে অভিযানে চালিয়ে একটি বাড়ি থেকে দেশীয় তৈরী সার্টারগানসহ হাসানুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা রাতে প্রশাসনের পরিচয় দিয়ে হাসানুজ্জামান (৩২)কে তার নিজ গ্রাম চাঁদপুরের একটি চায়ের দোকান থেকে একটি সাদা মাইক্রো বাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। হাসানুজ্জামান আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে জানিয়েছেন রাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু।
স’ানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় হাসান মেম্বার গ্রামের একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। হঠাৎ একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস এসে সেখানে অবস’ান করে। এক পর্যায়ে মাইক্রোবাস থেকে ৭/৮ জন সাদা পোশাক ধারী মাইক্রোবাস থেকে নেমে হাসানকে ঝাঁপটে ধরে মাইক্রোবাসে তোলে। এ সময় ওই চায়ের দোকানে বসে থাকা কয়েকজন সাধারণ মানুষ আটকের বিষয়টি জানতে চাইলে,তারা প্রশাসনের লোক বলে জানিয়ে হাসানকে তুলে নিয়ে চলে যায়।
এরপর থেকে হাসানের পরিবারের লোকজন গাংনী থানা পুলিশ ও মেহেরপুর ডিবি পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে,হাসানকে প্রশাসনের কেউ আটক করেনি বলে জানানো হয়।
গত সোমবার (১৩ নভেম্বর) গাংনী উপজেলা আইনশৃংখলা বিষয়ক কমিটির সভায় রাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু, মটমুড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, কাথুলি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকনসহ সকল চেয়ারম্যান আইনশৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়া ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামানের খোঁজ দাবী করেন এবং তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবী জানান। এর একদিন পরে জীবননগর থানা পুলিশ গ্রেফতার দেখালো তাকে। এ নিয়ে বর্তমানে গাংনী উপজেলায় চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post