কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত আনোয়ার হোসেন
কুষ্টিয়া থেকে শরিফ মাহমুদ : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে প্রবাসী যুবক রাকিবুল হত্যার এজাহারভুক্ত আসামী আনোয়ার হোসেন (২৭) নামের একজন নিহত হয়েছে। ঘটনাস’ল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১টি বিদেশী পিস’ল, ২ রাউন্ড পিস’লের গুলি, ১টি তলোয়ার ও ১টি হাসুয়া। এ ঘটনায় পুলিশের ৪ সদস্য আহত হয়েছে বলে তাদের দাবী।
শুক্রবার ভোররাত ৪টার দিকে কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ এলাকার গড়াই নদীর পাড়ে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রবাসী রাকিবুল হত্যার এজাহারভুক্ত আসামী আনোয়ার হোসেনকে বাঁধবাজার এলাকা থেকে আটক করে তার নিজ বাড়ী থেকে প্রবাসী রাকিবুল হত্যাকান্ডে ব্যবহার করা দড়ি, রক্তমাখা গেঞ্জি এবং বসত্মা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। রাতে আসামী আনোয়ারকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রবাসী রাকিবুল হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং রাকিবুল হত্যার সাথে জড়িত বাকি আসামীরা জয়নাবাদ এলাকায় অবস’ান করছে বলে পুলিশকে জানায় ।
আনোয়ারের তথ্যনুযায়ী তাকে নিয়ে মামলার অন্য আসামীদের ধরতে কুমারখালী উপজেলার জয়নাবাদ এলাকার গড়াই নদীর পাড়ে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপসি’তি টের পেয়ে একদল সন্ত্রাসী পুলিশকে লড়্গ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’র এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন গুলিবিদ্ধ হলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসার সময় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
নিহত আনোয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউয়িনের নগর সাঁওতা গ্রামের আজমত ওরফে গামলার ছেলে। তার বিরম্নদ্ধে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের পরকীয়ার জের ধরে ৫ অক্টোবর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা রাকিবুলকে হত্যা করে স’ানীয় কালীগঙ্গা নদীতে মরদেহ ফেলে দেয়। হত্যার তিনদিন পর মরদেহ নদী থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। এ হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি ছিলো আনোয়ার।