বি এম রাকিব হাসান, খুলনা ব্যুরো: পাইকগাছা কয়রা সহ সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অভ্যন্তরিন নদ-নদীতে চলছে ইলিশ আহরণ। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে শিবসা, ভদ্রা সহ কয়েকটি নদীতে প্রতিদিন ইলিশ ধরা অব্যাহত রেখেছে আহরণকারীরা। ফলে একদিকে বাস্তবায়ন হচ্ছে না সরকারের নিষেধাজ্ঞা, অপরদিকে ইলিশ উৎপাদন ও সংরণ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
ইলিশ সম্পদ সংরণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রাণালয় ১ অক্টোবর হতে ২২ অক্টোবর পর্যনত্ম ২২ দিন সময়কালে সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করে। মন্ত্রণালয়ের এ নিষেধাজ্ঞা বাসত্মবায়নে স’ানীয় মৎস্য অফিস ইতোমধ্যে প্যানা, পোষ্টারিং ও মাইকিং করে বিষয়টি জনসাধারণকে অবহিত করেন। এদিকে সরকারের এ নির্দেশনাকে উপো করে এলাকার ইলিশ আহরণকারীরা বিভিন্ন নদীতে ইলিশ ধরা অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে সুন্দরবন সংলগ্ন শিবসা, লতা ও দেলুটির ভদ্রা নদী সহ কয়েকটি নদীতে ইলিশ মাছ ধরা অব্যাহত রয়েছে। আহরণকারীরা প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অভ্যনত্মরিন এ নদীতে প্রতিদিন জোয়ারের সময় ফাঁস জাল দিয়ে ইলিশ ধরছে। শুক্রবার দুপুরে লতা ও দেলুটি এলাকার নদী গুলোতে একাধিক ব্যক্তিকে ইলিশ আহরণ করতে দেখা যায় বলে প্রত্যদর্শী অনেকেই জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পাইকগাছার উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস জানান, নির্দিষ্ট এ সময়ের মধ্যে কেউ এ আইন অমান্য করে ইলিশ আহরণ ও বিক্রয় করলে আইনে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যনত্ম জরিমানা এবং উভয়দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে। বিষয়টি ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে জনসাধারণকে অবহিত করা হয়েছে। এমনকি ভ্রাম্যমান আদালত, পরিচালনাও অব্যাহত রয়েছে। তারপরও যদি কেউ সরকারের এ নিষেধাজ্ঞা উপো করে ইলিশ আহরণ, মজুদ অথবা বিক্রয় করে তাহলে তাদের বিরম্নদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস’া গ্রহণ করা হবে বলে স’ানীয় মৎস্য দপ্তরের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ইলিশ সম্পদ সংরণ ও এলাকার নদ-নদীতে ইলিশ আহরণ বন্ধে স’ানীয় মৎস্য দপ্তর ও প্রশাসনকে আরো বেশি তৎপর হওয়ার আহবান জানিয়েছেন সচেতন মহল।
বি এম রাকিব হাসান,
খুলনা ব্যুরো:
০৯-১০-১৭