বি এম রাকিব হাসান, খুলনা ব্যুরো: আলুর দাম কমে যাওয়ায় খুলনার তিনটি হিমাগারে মজুদ ৩১ হাজার বসত্মা আলু থেকে মোটা অঙ্কের টাকা লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমান বাজার দরে বসত্মাপ্রতি ৫০০ টাকা হিসাবে ১৫ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হবে।
বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, আলু রপ্তানিতে উলেস্নখযোগ্য অগ্রগতি নেই। ফলে অনেক আলু হিমাগারে রয়ে গেছে। এবার চাহিদার তুলনায় উৎপাদন হয়েছে অনেক বেশি। কোল্ডস্টোরেজগুলো থেকে ব্যবসায়ীরা গত ১৫ দিন আলু বের করেননি। আর ৬০-৬৫ দিন পর উত্তরাঞ্চল থেকে নতুন আলু আসতে শুরম্ন করবে। তখন মজুদ আলু ফেলে দেওয়া অথবা গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা ছাড়া উপায় থাকবে না। ২০১৪-১৫ মৌসুমে আলুর কেজি তিন টাকা হওয়ায় খুলনার আড়ৎদাররা ২৫০ বসত্মা আলু ভৈরব নদে ফেলে দেয়। মজুদ আলু থেকে এবার রোহিঙ্গাদের জন্য ১০০ মেট্টিক টন ত্রাণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন এ দুরবস’া তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাণিজ্য ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। এ চিঠিতে আলু কিনতে সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে।
দৌলতপুর আইস এন্ড কোল্ডস্টোরেজের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী জানান, এ হিমাগারে ৩০ হাজার বসত্মা আলু মজুদ ছিল। অক্টোবর মাসেও মজুদের পরিমাণ ১৪ হাজার বসত্মা। আলু উঠার সময় প্রতি বসত্মার মূল্য ছিল ১৪০০ টাকা। এখনকার মূল্য ১ হাজার ২০ টাকা।
মাহমুদ কোল্ডস্টোরেজের ম্যানেজার মো. আজমল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ১৪ হাজার ৪৪৮ বসত্মা আলু মজুদ করা হয়। বছর শেষ হতে চললেও এখনো মজুদের পরিমাণ ৬ হাজার ১২৩ বসত্মা। প্রতি বসত্মায় হিমাগারকে ২৬০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। ১২ জন মজুদদার হিমাগারের ধারে ভিড়ছেন না। প্রতি বসত্মায় ৫০০ টাকা লোকসান হবে। হিমাগারে প্রতিদিন তিন/চার ঘণ্টা লোডশেডিং হয়। আলু সতেজ রাখতে জেনারেটর ব্যবহার করা হচ্ছে।
শিরোমনি গ্রামের অধিবাসী আলু ব্যবসায়ী মনিরম্নল ইসলাম জানান, ব্যাংক থেকে ঋণ ও কোল্ডস্টোরেজ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে এক হাজার বসত্মা আলু মজুদ রেখেছেন। আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকা লোকসান দিতে হবে। ফলে ব্যবসায়ীরা নিরম্নৎসাহিত হচ্ছেন। জুন মাসে প্রতি কেজি আলু ২৪ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ১৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বি এম রাকিব হাসান,
খুলনা ব্যুরো:
০৪-১০-১৭