আমিরুল ইসলাম অল্ডাম: গাংনী সাব রেজিষ্টার অফিসে চলছে নানা অনিয়ম। টাকা দিলেই নামজারী ও খাজনার রশিদ না থাকলেও অবাধে চলছে বেচা-কেনা। গাংনী সাব রেজিষ্টার সাদিকুল ইসলাম তালুকদারের বিরম্নদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতিবাজ সাব রেজিষ্টার তার নেতৃত্বে গড়ে তুলেছে ঘুষ বাণিজ্যের অবৈধ সিন্ডিকেট।সাব-রেজিষ্টার ঘুষ বাণিজ্যের জন্য দীর্ঘদিন ধরে নানা কৌশলে দলিল-লেখকদের ব্যবহার করে নিয়ম ভেঙ্গে নানা অন্যায় কাজ করে আসছেন।তিনি অত্র অফিসে যোগদান করার পর থেকেই সরকারী নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে তিনি ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে লড়্গ লড়্গ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।অলিখিত নিয়ম কানুন চালিয়ে দলিল লেখকদের দুটি সংগঠন নির্বাহী কমিটি ও ষ্টিয়ারিং কমিটির সদস্যদের দলিল প্রতি কমিশন দিয়ে অবৈধভাবে জমি রেজিষ্ট্রী করে আসছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দলিল লেখক জানান, সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে মোচাইনগরের আবু জারের স্ত্রী রম্নজিয়া খাতুন তার দলিলি সম্পত্তি বিক্রয় করতে গেলে ক্রেতা ঝোরপাড়ার মৃত গোলাম রসুলের ছেলে আব্দুল মান্নান এবং অন্য একটি দলিলে ঝোরপাড়ার মৃত হাফেজউদ্দীনের ছেলে ইউসুব আলী, রম্নহুল আমিন, আঃ রশিদ, রফিকুল ইসলাম সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে (দানপত্র ও ঘোষনাপত্র) দলিলের নং না দিয়ে জমি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রেজিষ্ট্রী করে দিয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা জমি ক্রেতা বিক্রেতাকে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দলিল সম্পাদন করে দেয়া, কবলা দলিলকে হেবা দলিলের মূল্যে পরিণত করা, দলিলের সম্পত্তি হসত্মানত্মরে দলিল নং ছাড়া জমি রেজিষ্ট্রী করে দেয়া, খারিজ কপি ছাড়াই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দলিল সম্পাদন করে দেন সাব রেজিষ্টার।অফিস সূত্রে জানা গেছে, একটি দলিল সম্পাদনের ড়্গেত্রে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী জমির হালসনের খাজনা রশিদ ও মূলপর্চা প্রয়োজন। এগুলো ছাড়া সাফ কবলা দলিল রেজিষ্ট্রী করা কখনই সম্ভব নয়। অথচ একটি বিশ্বসত্ম সূত্রে জানা গেছে, বাড়তি অর্থের বিনিময়ে গাংনী সাব রেজিষ্টার সাদিকুল ইসলাম তালুকদার মূলপর্চা ছাড়াই নিয়ম বহিভর্’ত ভাবে এযাবৎ শতাধীক দলিল সম্পাদন করে লড়্গ লড়্গ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আরও জানা গেছে, থার অনিয়ম দুর্নীতি আড়াল করতে তিনি এই অফিস থেকে লড়্গ লড়্গ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দ’ুএকদিনের মধ্যে চলে যাচ্ছেন।
এব্যাপারে দলিল লেখক সমিতির কার্য নির্বাহী কমিটির সভাপতি আল-মামুন পিন্টু জানান, এরকম অনিয়ম বরদাসত্ম করা হবে না। সরকারী রাজস্ব ফাকি দিয়ে ও খারিজ এবং হাল রশিদ বাদ দিয়ে জমি কোন দলিল লেখক রেজিষ্ট্রী করার হীন অপরাধ করলে সেই অভিযোগের সুর্নিদিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরম্নদ্ধে ব্যবস’া নেয়া হবে।দলিল লেখকরা দলিল সম্পাদন করতে ক্রেতাদের নিকট থেকে জমির শ্রেনি বদল, স্ট্যাম্প ক্রয় বাবদ অতিরিক্ত টাকা গ্রহন এবং দলিল লেখা খরচে মনগড়া ফিস নিয়ে থাকেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
অভিযোগ নিয়ে সাব রেজিষ্টার সাদিকুল ইসলাম তালুকদারে সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে বার বার চেষ্টা করেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আমিরুল ইসলাম অল্ডাম
গাংনী ,মেহেরপুর
তাং-১১-১০-১৭ ইং
মোবাইল ০১৭১৭-০০৮৩৫৫