সাবেক সেনাসদস্যকে আটক করে মারধর, ঘুষ দাবি এবং টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের অভিযোগে মাগুরায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক কর্মকর্তার (উপপরিদর্শক) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বলেন, ‘আদালতের ওই নির্দেশের কপি হাতে পাইনি।’
সাবেক সেনাসদস্যকে আটক করে মারধর, ঘুষ দাবি এবং টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের অভিযোগে মাগুরায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক কর্মকর্তার (উপপরিদর্শক) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন সাবেক ওই সেনাসদস্যের বড় ভাই মশিউর রহমান মোল্লা। হাকিম শম্পা বসু অভিযোগটি আমলে নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আরজিতে অভিযোগ করা হয়, স্থানীয় একটি মারামারির মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি হিসেবে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে আটটার দিকে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাড়ি থেকে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট আলমগীর হোসেনকে আটক করে মাগুরা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সালাউদ্দিন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ডিবি পুলিশের আরও তিন সদস্য ছিলেন। আটকের সময় আলমগীর হোসেনকে হাতকড়া লাগিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে ঘরের আলমারি খুলে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করা হয়।
এসআই মো. সালাউদ্দিনের ভাষ্য, ‘পূজার সময় দায়িত্ব পালনে মহম্মদপুরে ছিলাম। আলমগীর হোসেন গ্রপ্তারি পরোয়ানার আসামি। তাঁকে আটক করে মহম্মদপুর থানায় আনা হয়। মহম্মদপুর থানা তাঁকে আদালতে পাঠায়। আদালত থেকে জামিনে বের হওয়ার পর তাঁরা ওই অভিযোগ করছে।’
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানার ওসি মো. তরীকুল ইসলাম শুক্রবার সকালে কেবিডিনিউজকে
বলেন, ‘আদালতের ওই নির্দেশের কপি হাতে পাইনি।’