কুষ্টিয়া থেকে শরিফ মাহমুদ :স্বপ্নের জাল বুনতে প্রত্যাশার হাতছানি বিদেশ পাড়ি জমাতে কে না চাই। কিন’ আদম ব্যাপারীদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে বিদেশ পাড়ি জমানো প্রত্যাশি যুবকদের। আজ যাবো কাল যাবো করে অপেড়্গার পালা যেন আর শেষ হয়না। এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়ীয়া মন্ডলপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক জামাল মন্ডলের ছেলে যুবক লালন মন্ডলের ভাগ্যে। স্বপ্নের মালেয়েশিয়া যাওয়ার জন্য মালোয়েশিয়া থেকে পড়াশুনা করে আসা পরিচয়দানকারী আদম ব্যাপারী কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওদা খাদিমপুর আট মাইল গ্রামের জারো বিশ্বাসের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাকিবের হাতে ৪৪ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভনে পড়ে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা তুলে দেন হতদরিদ্র যুবক লালন মন্ডল।
প্রতারক রাকিব ঢাকা ১০৪ মতিঝিল কর্মাশিয়াল এরিয়ার (গেস্নাব চেম্বার) এ্যাডভেঞ্চার টুর এন্ড ট্রাভেলস এবং মালেয়েশিয়ার এ্যাম্পাং পয়েন্ট বিহিন্দ তামানদাতা আহমেদ রাজিল রোড এ্যাম্পাংজায়া পারমা কোর্ট-১, রোড-১৩/ডি, মালেয়েশিয়া অফিসের একজন উদর্ধতন কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর কাজ করে। আর এ কাজে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন তার সরকারী চাকুরীজিবি শ্বাশুড়ি মেহেরপুর জেলা শিড়্গা অফিসের কম্পিউটার অপারেটর শেফালী খাতুন। তিনি চাকুরীর পাশাপাশি মেয়ের জামাই রাকিবের সাথে আদম ব্যবসা করে এবং ওতপ্রতভাবে জড়িত।
লালন মন্ডলকে দীর্ঘ দিন ঘুরানোর পর প্রফেশনার ভিসায় পাঠানোর কথা থাকলেও ২১/০৭/২০১৭ তারিখে ট্রুরিষ্ট ভিসায় পাঠানো হয়। অবৈধ ভিসায় লালন মন্ডল মালয়েশিয়া এয়ারপোর্টে পৌছালে তাকে পুলিশি আটক করে একদিন পর ২২/০৭/২০১৭ তারিখে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। লালন মালয়েশিয়া গিয়ে জানতে পারে যে তাকে ফাসিয়েছে।
এ ব্যাপারে আদম ব্যাপারী রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার বিরম্নদ্ধে আনা এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করে পরে মালয়েশিয়া থেকে এম.বি.এ করেছি। বর্তমানে ঢাকা মতিঝিলের এ্যাডভেঞ্চার টুর এন্ড ট্রাভেলস এবং মালোয়েশিয়ার এ্যাম্পাং পয়েন্ট বিহিন্দ তামান্দাতা আহমেদ রাজিল রোড এ্যাম্পাংজায়া পারমা কোর্ট-১ রোড-১৩/ডি মালোয়েশিয়া অফিসে কর্মরত আছি। বৈধভাবেই লোক পাঠানোর কাজ করি। কোন প্রতারনা করে নয়। শ্বাশুড়ি এবং জামাই মিলে এলাকার লোক ঠকিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আদম ব্যবসা করে চলেছে। বর্তমান শ্বাশুড়ি ফেসে যাবার ভয়ে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রেখেছেন।
শরিফ মাহমুদ