পরীক্ষা ছাড়া ১৪ হাজার ব্রান্ডের ওষুধ

স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমান জনবলের দুইগুণ বেশি জনবল চেয়ে দেয়া ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের চাহিদাপত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হয়ে আটকা পড়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। তবে ওষুধ প্রশাসন চায়- বর্তমান জনবলের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। কয়েকমাস আগে দেয়া এ চাহিদাপত্র সম্পর্কে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের একজন পরিচালক বলেন, অধিদপ্তরে পর্যাপ্ত জনবল বৃদ্ধি না করলে সঠিকভাবে দেশের মানুষকে সেবা দেয়া সম্ভব না।
প্রতিষ্ঠানটিতে প্রথম শ্রেণীর ১১৮টি, দ্বিতীয় শ্রেণীর ২৫টি, তৃতীয় শ্রেণীর ১১৫ ও চতুর্থ শ্রেণীর ১১২ জনসহ মোট ৩৭০টি পদের মধ্যে পূরণ আছে ২৮৩টি পদ। প্রথম শ্রেণীর ২৩টি, দ্বিতীয় ১০টি, তৃতীয় শ্রেণীর ৩৯ ও চতুর্থ শ্রেণীর ১৫ জনসহ ৮৭টি পদ শূন্য। ড্রাগ কন্ট্রোল ল্যাবরেটরির ৬০টি পদের মধ্যে ১৮টি-ই শূন্য।

সম্প্রতি ওষুধ প্রশাসনের অডিটরিয়ামে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে জনবল বৃদ্ধির প্রসঙ্গটি জোরালোভাবে উপস্থাপন করেন ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং ওষুধখাত সংশ্লিষ্ট দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন- স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

ফার্মেসি মনিটরিং, ওষুধের মান পরীক্ষা, নতুন ওষুধ কারখানা স্থাপনে প্রকল্প মূল্যায়ন ও অনুমোদন, জৈব-অজৈব ওষুধের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, ওষুধের বিদ্যমান ও নতুন রেসিসি অনুমোদন, কারখানা পরিদর্শন, কাঁচামাল আমদানির অনুমোদন, প্রি-মার্কেটিং ও পোস্ট মার্কেটিং পর্যায়ে ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষাকরণ, মাননিয়ন্ত্রণ, লেবেল ও কার্টন অনুমোদন, নতুন ওষুধের নিবন্ধন প্রদান, খুচরা মূল্য নির্ধারণ আমদানিকৃত ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল কাস্টমস থেকে ছাড়করণে প্রত্যায়নপত্র প্রদান, আমদানিকৃত ওষুধের নিবন্ধন প্রদান, ওষুধ রপ্তানির লাইসেন্স প্রদান, পাইকারি ও খুচরা ওষুধ বিক্রির লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, ফার্মেসি মনিটরিং এবং নকল, ভেজাল ও মানহীন ওষুধ ব্যবসায়ীদের ধরতে অভিযান চালানোসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত এ অধিদপ্তর।

সূত্র বলছে, দেশে এক হাজার ২০০ ধরনের ওষুধের প্রায় ২৭ হাজার ব্র্যান্ড আছে। পরীক্ষা ছাড়া বাজারে রয়েছে ১৪ হাজার ব্র্যান্ডের ওষুধ। এ ছাড়া অনুমোদিত এক লাখ ২৩ হাজার ৬৮০ ফার্মেসির মধ্যে ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাত্র ৬১ হাজার ৯৪৫টি পরির্দশন করতে সক্ষম হন। বাকি ৬১ হাজার ৭৩৫টিই থেকে গেছে পরিদর্শনের বাইরে। অনুমোদন ছাড়া ফার্মেসি নজরদারির মধ্যে আনা সম্ভব হয় না অপ্রতুল জনবলের কারণে।

সম্প্রতি ওষুধ প্রশাসনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জানানে হয়- জেলা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির মাত্র একজন করে কর্মকর্তা রয়েছেন। অথচ একটি উপজেলায়ই ৩০০ থেকে ৪০০ ফার্মেসি। সারা জেলায় সেটি অনেক। এ কারণেই এক কর্মকর্তার পক্ষে তা মনিটরিং করা অসম্ভব।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post