Kbdnews ডেস্ক : রাণীনগরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন ও ভালুকায় কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কেবিডিনিউজ প্রতিনিধিরা জানান–
রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর রাণীনগরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই নিহতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার একডালা ইউনিয়নের পাচুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারেশ আলী মোল্লা (৬৫) উপজেলার একডালা ইউনিয়নের পাচুপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত কাজেম আলী মোল্লার ছেলে। ঘটনার পর থেকে ছোট ভাই মো. আজাদ আলী মোল্লা ও জামাইসহ পরিবারের সবাই পলাতক আছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জমি নিয়ে বড় ভাই পারেশ আলীর সাথে ছোট ভাই আজাদ মোল্লার দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল বুধবার সকাল ৬টার দিকে কশবা মাঠে ছেলে মো. বাবু মোল্লার সাথে পারেশ আলী জমি থেকে ধানের চারা (বিছন) তুলছিলেন। এসময় ছোট ভাই আজাদ মোল্লা ৪-৫ জনকে সাথে নিয়ে সেখানে গেলে বড় ভাইয়ের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা দিয়ে সেখানে পারেশ আলীকে মারপিট করা হয়। সেখান থেকে তাকে ধরে নিয়ে এসে গ্রামের পাঁচুপুর বাজারের ছোট ব্রিজের ওপর আবারও মারপিট করার সময় ব্রিজের রেলিং এর সাথে আঘাত লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গুরুত্ব আহতবস্থায় এলাকাবাসী ও তার ছেলে মো. বাবু মোল্লা তাকে উদ্ধার করে পাশে কালিগঞ্জ বাজারে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
রাণীনগর থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. বাবু মোল্লা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার সাথে সম্পৃক্তরা পলাতক থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে শিগগিরই তাদের আটক করা হবে।
ভালুকায় কিশোরের লাশ উদ্ধার
ভালুকা (ময়মনসিংহ) তমাল কান্তি সরকার
ময়মনসিংহের ভালুকায় গত সোমবার নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ কিশোর সুমনের (১৬) লাশ গত মঙ্গলবার বিকেলে ভালুকার খীরু নদীর ব্রীজের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সুমন ভালুকা উপজেলার মলি্লকবাড়ি ইউনিয়নের ভায়াবহ গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় একাধিক ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুরের হংকং টেঙ্টাইল মিলের শ্রমিক সুমন (১৬), আশিক (১৬), নয়ন (১৫) ও আলমগীর (১৫) গত সোমবার দুপুরে ভালুকা পৌরসদরে বেড়াতে এসে সাঁতার কাটার জন্য ভালুকা খীরু নদীর ব্রিজের নিচে পানিতে নামে। এদিকে, নদীতে নামার কিছুক্ষনের মধ্যেই পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয় সুমন। পরে তীরে উঠে আসা তিন বন্ধুর কান্নাকাটিতে স্থানীয়রা ঘটনাটি টের পায়। স্থানীয়রা ও ময়মনসিংহ থেকে ডুবুরী দল এসে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করেও সোমবার সুমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি। এদিকে সুমনের সন্ধ্যান অব্যাহত রাখে তার পরিবার ও স্বজনেরা। পরদিন মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে খীরু নদীর পানিতে সুমনের মৃতদেহ ভাসতে দেখে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে তার পরিবারের লোকজন নদীর পানি থেকে সুমনের লাশ উদ্ধার করে।