আপন জুয়েলার্সের গোপন কারবার- নজরদারিতে ১৯ চোরাকারবারি

 

আপন জুয়েলার্সের বেশির ভাগ স্বর্ণের জোগান আসত চোরাচালানের মাধ্যমে। এর সঙ্গে জড়িত ১৯ জন চোরাকারবারি। যারা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিশেষ কৌশলে বছরের পর বছর এ অপরাধ করে আসছেন। এজন্য বছরের বেশির ভাগ সময় তারা সিঙ্গাপুর, দুবাই, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় যাতায়াত করেন। সম্প্রতি শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের বিশেষ অনুসন্ধানে এ চক্রের বিস্তারিত প্রোফাইল বেরিয়ে আসে। এদের কেউ কেউ মাত্র ছয় মাসে ১৮ বার পর্যন্ত বিদেশে ভ্রমণ করেন। বর্তমানে এ চক্রের প্রত্যেকে গোয়েন্দা জালে বন্দি। সহসায় তাদের আইনের আওতায় আনা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

সূত্র জানায়, ১৯ সন্দেহভাজন চোরাকারবারির পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে দেখা যায়, এদের বেশির ভাগই বিদেশে কোনো কাজ না করলেও প্রতি মাসেই বিদেশে যাতায়াত করেন। কেউ কেউ সপ্তাহে ৩-৪ বার পর্যন্ত বিদেশে গেছেন। এদের অনেকে সকালে সিঙ্গাপুরে গিয়ে রাতের ফ্লাইটেই দেশে ফিরেছেন। কিন্তু এভাবে যাওয়া-আসার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ বহির্গমন ফরমে উল্লেখ করেননি। আবার নিয়ম থাকলেও বৈদেশিক মুদ্রা সম্পর্কিত কোনো ঘোষণাও তারা দেননি। এ বিষয়টিই একটি শক্তিশালী বড় চক্রের জড়িত থাকার প্রমাণ দেয়। অর্থাৎ এরা যাতে সহজে ইচ্ছামতো স্বর্ণ চোরাচালান চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ধাপ থেকে তারা পর্যাপ্ত সহায়তা পেয়ে থাকে।

এদিকে মে মাসজুড়ে ঢাকায় অবৈধ স্বর্ণ ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান চলার সময় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অভিযানের আদ্যোপান্ত জানানো হয়। এরপর জুন মাসে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো এক গোপনীয় প্রতিবেদনে আপন জুয়েলার্সের অবৈধ স্বর্ণ ব্যবসা প্রসঙ্গে বলা হয়, সাড়ে ১৫ মণ স্বর্ণ জব্দ হলেও আপন জুয়েলার্স বিভিন্ন রিটার্নে স্বর্ণের মজুদের ঘোষণা দেয় ৪২ দশমিক ১৮ কেজি। উপরন্তু এসব স্বর্ণ তারা কোথা থেকে কিনেছেন তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য বিদেশ থেকে স্বর্ণ আনেন এমন যাত্রীদের কাছ থেকে বিমানবন্দরে স্বর্ণ কেনার দাবি করে ৬২৭টি ক্রয় রিসিপ্ট জমা দেন। এর মধ্যে ১৯ জন যাত্রীকে অতি ভ্রমণকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু তাদের ভ্রমণ নথি পরীক্ষা করে ব্যাপক অসঙ্গতি পাওয়া যায়। কারণ বহির্গমনের সময় তারা বৈদেশিক মুদ্রা বহনের কোনো ঘোষণা দেননি। এ সূত্র ধরেই শুল্ক গোয়েন্দা বিস্তারিত অনুসন্ধানে মাঠে নেমে পড়ে। এরপর তাদের বিষয়ে একের পর এক ভয়াবহ তথ্য আসতে থাকে, যা দেখে সবার তো চক্ষুচড়ক গাছ। এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে, এরা শুধু স্বর্ণ চোরাচালান নয়, অর্থ পাচারের সঙ্গেও এদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

একটি বিশেষ সূত্রে এই ১৯ সন্দেহভাজন স্বর্ণ চোরাকারবারির পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্তের একটি কপি যুগান্তরের কাছেও আসে। এতে দেখা যায়, ফিরোজ নামের এক ব্যক্তি ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর থেকে ১৪ সালের ১২ মে পর্যন্ত সময়ে ১৫ বার সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেন। অথচ তিনি সিঙ্গাপুরে কোনো কাজ করেন না। সেখানে তার কোনো আত্মীয়স্বজনও নেই। ফিরোজ বর্তমানে ঢাকার মিরপুর এলাকায় থাকেন। তবে রহস্যজনক বিষয় হচ্ছে, ঢাকাতেও তিনি তেমন কোনো কাজ করেন না। অর্থাৎ তার নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। অথচ তিনি বারবার সিঙ্গাপুরের মতো ব্যয়বহুল দেশ ভ্রমণ করছেন।

ফিরোজের পাসপোর্ট নম্বর এ-ই ৯৯৮০৫৫৪। পিতার নাম আলম চাঁন ব্যাপারী, মায়ের নাম ফিরোজা বেগম। তার স্থায়ী ঠিকানা শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে। স্বল্প সময়ে এতবার বিদেশ ভ্রমণ সম্পর্কে জানতে চাইলে শনিবার মোবাইল ফোনে তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি সিঙ্গাপুরে গিয়ে মাঝে মাঝে থাকি। চার-পাঁচ দিন থাকলে কিছু টাকা-পয়সা আয়-রোজগার হয়। তিনি বলেন, মাঝে মাঝে কিছু স্বর্ণ নিয়ে এসে আপন জুয়েলার্সের কাছে বিক্রি করছি। তবে আমি চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত না।’

মোহাম্মদ আনিস নামের আরেক ব্যক্তি মাত্র সাত মাসে ১৮ বার বিদেশে গেছেন। তার পাসপোর্ট নম্বর এজি১৫৯২১৭৩। পাসপোর্টে তার স্থায়ী ঠিকানা মুন্সীগঞ্জের উত্তর মহাখালী গ্রাম। পিতামাতার নাম যথাক্রমে নুরুল ইসলাম ও বদরুন নেসা। তার পাসপোর্টের মেয়াদ আছে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ সম্পর্কে জানতে চাইলে শনিবার রাতে তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি সিঙ্গাপুরে ব্যবসা করি। সিঙ্গাপুরের কোথায় ব্যবসা করেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘কোথায় বলব, এই ধরেন মোস্তফা মার্কেট এলাকায় করি।’ কথাবার্তার এক পর্যায়ে সিঙ্গাপুর থেকে স্বর্ণ এনে আপন জুয়েলার্সের কাছে বিক্রির বিষয়টি স্বীকারও করেন তিনি।

মাত্র ২০ দিনেরও কম সময়ে ১২ বার বিদেশে গেছেন মোহাম্মদ ওয়াহেদুজ্জামান। তার পাসপোর্ট নম্বর এডি৩৬৩১৬৩৯। পাসপোর্টে তার ঠিকানা-৫৫ দক্ষিণ সায়েদাবাদ। যাত্রাবাড়ী পাসপোর্ট অফিস থেকে তিনি পাসপোর্ট নেন ২০১২ সালে।

সূত্র জানায়, ওয়াহেদুজ্জামান মূলত সিঙ্গাপুর থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণ এনে দেশে বিক্রি করেন। তার সঙ্গে আপন জুয়েলার্সের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। সিঙ্গাপুরে তার অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মাধ্যমেও বিশেষ কৌশলে চোরাইপথে স্বর্ণ নিয়ে আসেন। তার সঙ্গে ঢাকা ও সিঙ্গাপুরের কয়েকজন ট্রাভেল এজেন্টও জড়িত বলে জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ওয়াহেদুজ্জামানের পাসপোর্টে তার পিতার নাম লেখা আছে এসএ সাত্তার। মায়ের নাম আঞ্জুমান আরা বেগম। এতবার বিদেশ ভ্রমণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘আমার কয়েকজন আত্মীয় সিঙ্গাপুরে হোটেল ও রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করেন। তাদের কাছে মাছ, মাংস, শুঁটকি ইত্যাদি নিয়ে যাই। ফেরার সময় ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য কিছু স্বর্ণ নিয়ে এসে আপন জুয়েলার্সের কাছে বিক্রি করেছি। তিনি দাবি করেন, এতে তিনি তেমন বড় অপরাধ করেননি।

সন্দেহভাজন স্বর্ণ চোরাকারবারি হিসেবে শুল্ক গোয়েন্দার নজরদারিতে রয়েছেন আবদুল আওয়াল। তার পাসপোর্ট নম্বর এএ৯০১৫৩৩১। ঠিকানা জুলফিকার রোড, হাবিবনগর, কদমতলী, ঢাকা। আবদুল আওয়াল ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে ৩০ মে পর্যন্ত মাত্র ৫ দিনে ৬ বার বিদেশে যান। বেশির ভাগ গেছেন সিঙ্গাপুরে। তার পিতার নাম আবদুল মজিদ হাওলাদার। মায়ের নাম ফিরোজা বেগম।

আরেক সন্দেহভাজনের নাম ফারুক আহমেদ পিন্টু। কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই মাত্র ২৫ দিনে ৭ বার বিদেশে গেছেন তিনি। তার পাসপোর্ট নম্বর বিএ ০৬১৩২৬১। ফারুক আহমেদের স্থায়ী ঠিকানা মুন্সীগঞ্জের ঘাসিপুকুরপাড় গ্রামে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, সোহেল রানা নামের এক যাত্রীর ভ্রমণ বৃত্তান্ত রীতিমতো অবাক করার মতো। কারণ তার অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন একটা ভালো না হলেও মাত্র ৮ দিনেই ৩ দফা বিদেশে বেড়াতে যান তিনি। তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, সোহেল রানার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুর। পাসপোর্ট নম্বর বিএ ০০১৬৪৩৩। বাবা খাদেমুল ইসলাম। মায়ের নাম সানোয়ারা বেগম।

সূত্র জানায়, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে স্বর্ণ এনে আপন জুয়েলার্সের কাছে স্বর্ণ বিক্রি করেন সুমন সারোয়ার নামের এক ব্যক্তি। এ জন্য তিনি ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ৬ দফা বিদেশে যান। তার পাসপোর্ট নম্বর এএ ০০৩৫৭০৯। শুল্ক গোয়েন্দার পক্ষ থেকে সুমন সারোয়ারের বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের কাটাখালীতে। বাবার নাম মোন্নাফ সরকার। মায়ের নাম সুফিয়া খাতুন।

শুল্ক গোয়েন্দার নজরদারিতে থাকা আরেক ব্যক্তির নাম খলিল রহমান। তিনি মাত্র ৯ দিনে ৫ বার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। বেশিরভাগই গেছেন দুবাই। তার পাসপোর্ট নম্বর এসি ০১৬৯৯২৭। আবুধাবির বাংলাদেশ মিশন থেকে পাসপোর্ট নেন তিনি। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি।

জানা গেছে, খলিল রহমান মূলত আপন জুয়েলার্সের ‘ক্যারিয়ার’ (অবৈধ স্বর্ণবাহক)। আপন জুয়েলার্সের এমন বাহকের সংখ্যা অনেক। দুবাই ও সিঙ্গাপুর থেকে তারা নিয়মিত স্বর্ণ নিয়ে আসেন ঢাকায়। প্রতিবার ভ্রমণের জন্য তাদেরকে মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক দেয়া হয়।

মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে ৩ দফা দেশের বাইরে যান কুমিল্লার বাসিন্দা মনির আহমেদ। তার পাসপোর্ট নম্বর এজি ৩৫২৯০২৫। কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি। বাবার নাম মোহাম্মদ আবদুল আলী। মায়ের নাম অহিদুর নেসা। সন্দেহজনক বিদেশ ভ্রমণ ছাড়াও তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে তিনি পাসপোর্ট নেন। স্থায়ী বা অস্থায়ী কোনো ঠিকানা ঢাকায় না হলেও ২০১৩ সালে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে তার পাসপোর্ট ইস্যু হয়।

নারায়ণগঞ্জের ভূলতা এলাকার মাঝিপাড়ার বাসিন্দা ওয়াহেদ উল্লাহ আপন জুয়েলার্সের কাছে নিয়মিত স্বর্ণ বিক্রি করেন বলে জানা গেছে। বিএ ০৩২২৭১০ নম্বর পাসপোর্ট ব্যবহার করে তিনি এক মাসেরও কম সময়ে ৮ বার বিদেশে গেছেন। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের পুরিন্দা এলাকার আরেক বাসিন্দা ফারুক মিয়াও কোনো কারণ ছাড়াই ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ করেন। ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল থেকে ১৭ মে পর্যন্ত তিনি ৮ বার দেশের বাইরে যান। প্রতিবারই ফিরে এসে তিনি আপন জুয়েলার্সের কাছে স্বর্ণ বিক্রি করেন। তার পাসপোর্ট নম্বর এএফ ১৪৫৯৮০৪। সন্দেহভাজন স্বর্ণ চোরাকারবারি হিসেবে শুল্ক গোয়েন্দার তালিকার ১১ নম্বরে আছেন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বাসিন্দা মঞ্জুর হোসেনের নাম। তার পাসপোর্ট নম্বর এই ৭০৫০৫৩৮। তিনি ১৪ সালের ১৮ মার্চ থেকে ৮ মে পর্যন্ত সময়ে ৭ বার বিদেশে যান। কিন্তু কোনোবারই বিমানবন্দরের কাগজপত্রে বিদেশে যাওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেননি। মঞ্জুর হোসেনের বাবার নাম ইউসুফ আলী। মায়ের নাম রানু বেগম। শুল্ক গোয়েন্দার তালিকার ১২ নম্বরে আছেন মিরপুর পল্লবীর বাসিন্দা সামসুল হুদা। তার পাসপোর্ট নম্বর এই ২০০৭৬০১। দেড় মাসে তার বিদেশ ভ্রমণ হয়েছে ৬ বার। তার স্থায়ী ঠিকানা পল্লবী এলাকার ডি-ব্লকের ১৬ নম্বর রোড। মাত্র ১৬ দিনে ৫ বার বিদেশ ভ্রমণের রেকর্ড মুন্সীগঞ্জের ইসলাম শেখের। তার পাসপোর্ট নম্বর এজি ১২০৫৪৬০। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর ইসলাম শেখ সম্পর্কে ইতিমধ্যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে। তার স্থায়ী ঠিকানা মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর বিলেরপাড় গ্রামে। বাবার নাম আবুল কাশেম এবং মায়ের নাম চান বানু।

বিদেশে গেলেই ‘নিজের ব্যবহারের জন্য’ স্বর্ণ আনেন এএফ ৬৪৫২১৬১ নম্বর পাসপোর্টধারী মোহাম্মদ হানিফ। কিন্তু সেই স্বর্ণ প্রতিবারই তিনি বিক্রি করেন আপন জুয়েলার্সের কাছে। তবে এমন সরল অঙ্ক মানতে রাজি নন শুল্ক গোয়েন্দারা। তারা বলছেন, মাত্র ১৫ দিনে তার দু’দফা বিদেশে যাওয়া এবং ফিরে এসেই আপন জুয়েলার্সের শোরুমে হাজির হওয়ার মধ্যে যোগসূত্র মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। হানিফের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান। পিতা ও মাতার নাম যথাক্রমে আবদুল আজিজ ও হানুফা বেগম।

শুল্ক গোয়েন্দার তালিকায় থাকা আরেক সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম রুবেল। তার পাসপোর্ট নম্বর বিএ ০০২৯৯১৩। তিনি ২০১৪ সালের ১০ মার্চ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত বিদেশ ভ্রমণ করেন ৪ বার। তার স্থায়ী ঠিকানা হচ্ছে মুন্সীগঞ্জের লৌহগঞ্জ। পাসপোর্টে বর্তমান ঠিকানা দেয়া হয়েছে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মার্কেটের নিউ সুপার মার্কেট।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post