Kbdnews :মেহেরপুর জেলায় এবার ২ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমির পাট চাষ থেকে পাটের পাশাপাশি প্রায় ৪ কোটি টাকার পাটখড়ি উৎপাদন হয়েছে। পাটখড়ির বহু ব্যবহার শুরম্ন হওয়ায় এবার ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রার স’লে ২ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। পাটখড়ির আরও বহু ব্যবহার আবিষ্কার করতে পারলে অর্থকরী হিসেবে পাটখড়ির প্রয়োজনে সোনালি আঁশ পাট চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে। পাটের বাজার ভালো না পাওয়া সত্ত্বেও এ অঞ্চলের মানুষ প্রতিবছর পাট চাষ করে আসছে। জ্বালানি ছাড়াও পাটখড়ির বেড়া, পানবরজে বাঁশের শলীর বিকল্প হিসেবে পাটখড়ি, খড়ের বিকল্প হিসেবে পাটখড়ি দিয়ে ঘরের ছাউনি, জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধির জন্য পাট চাষ, সর্বোপরি জ্বালানির চাহিদা মেটাতে অবাধে বৃক্ষ নিধন থেকে পাটখড়ি এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে। এক বিঘা জমিতে পাটের পাশাপাশি পাটখড়ি বিক্রি হয়ে থাকে তিন থেকে চার হাজার টাকায়। পাটখড়ির বহু ব্যবহারের কারণেই এবার মেহেরপুর জেলায় ১ হাজার ৫শ হেক্টরের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। এ এলাকার সোনালি আঁশ দিয়ে তৈরি ব্যাগ, পাপস, টেবিল ক্লথ, পর্দা, ব্যাগ ইত্যাদিরও চাহিদা আছে। কিন’ এই শিল্পের দিকে এখনও কেউ এগিয়ে আসেনি। সরকারিভাবে দেশের সব জেলায় ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে তুলতে পারলে অর্থকরি পাটচাষ বাড়তেই থাকবে। বৃদ্ধি পাবে সোনালি আঁশ পাট চাষ। সদর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের পাটচাষী সামাদ আলী জানান, এক বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ১০ মণ পাটের সঙ্গে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার পাটখড়ি পাওয়া যায়। পারিবারিক জ্বালানি চাহিদা মিটিয়েও পাটখড়ি বিক্রি করা যায়। এজন্য তিনি প্রতিবছর তিন থেকে চার বিঘা জমিতে পাট চাষ করছেন। মেহেরপুর জেলা পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক বলেন, পাট চাষে জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে, জ্বালানি হিসেবে পাটখড়ির ব্যবহারের কারণে বৃক্ষনিধন কমে আসে, বাড়ির বেড়া, ঘরের ছাউনি হিসেবেও পাটখড়ির চাহিদা আছে। আছে পানবরজে বাঁশের শলীর বিকল্প হিসেবে পাটখড়ির ব্যবহার। এছাড়া কাগজ উৎপাদনে পাটখড়ির ভূমিকা অনস্বীকার্য।