বারী উদ্দিন আহমেদ বাবর, কুমিল্লা প্রতিনিধি॥: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ভূল চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌর সদর বাজারে ‘নাঙ্গলকোট মেডিকেল সেন্টারে’ নামক প্রাইভেট ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। এরআগে বিভিন্ন সময়ে এই ক্লিনিকটিতে ভূল চিকিৎসা ও অস্ত্রেপচারে অন্নত ৩ রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। যা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রফাদফা করা হয়েছিল। চিকিৎসা শাস্ত্রের পরিপন’ী হয়ে একই চিকিৎসক অবেদনবিদ ও অস্ত্রেপচারের কাজ করায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। আজ রবিবার (১৩ আগস্ট) ওই ক্লিনিকের ব্যবস’াপনা পরিচালক (এমডি) মো. মনির হোসেন মুঠোফোনে একই চিকিৎসক দিয়ে অবেদন ও অস্ত্রেপচারের কাজ করানোর কথা স্বীকার করেছেন।
রোগীর স্বজন ও ক্লিনিক কর্তৃপড়্গ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের পাটোয়ার গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে আমির হোসেন (২৮) গত ৩ আগস্ট দুপুরে এপেন্ডিসাইটিসের ব্যাথা নিয়ে ওই হসপিটাতালে ভর্তি হয়। ওইদিনই ডা: জসিম উদ্দিন চৌধুরী তাঁকে অচেতন ও অসো্ত্রপচার করেন। ২দিন পর আমির হোসেনের শরীরে ফুলাসহ তার স্বাসে’্যর অবস’া সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। তখন তড়িগড়ি করে ক্লিনিক কর্তৃপড়্গ তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস’ায় কুমিলস্নায় পাঠিয়ে দেয়। এরপর কুমিলস্না মুন হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস’ায় বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
ওই হসপিটালের এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রোগী (আমির হোসেন) আমাদের এখানে খুব খারাপ অবস’ায় আসে। আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারিনি। এই রোগীর ড়্গেত্রে যা ঘটেছে তা হলো একদম অস্বাভাবিক ঘটনা। কেননা এ অপারেশানটি ছোট কিন’ এড়্গেত্রে ডাক্তার বড় ধরনের ভূল করেছে। যেমন অপারেশানের পর সুতার গিট অর্থাৎ বাঁধা সঠিক না হওয়ার কারনে মূলত এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট মেডিকেল সেন্টারের ব্যবস’াপনা পরিচালক (এমডি) মো. মনির হোসেন বলেন, আমির হোসেন এ্যাপেন্ডিসের ব্যথা নিয়ে আসে। তখন ডাঃ জসিম উদ্দিন তাকে দেখাশোনার পর অপারেশান করে। ওই রোগীকে কোন চিকিৎসক অচেতন করেছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন ডাঃ জসিম উদ্দিন তাকে অচেতন করেছে। যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে সাংঘর্ষিক বটে।
তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা: জসিম উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন আমি বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) আসবো তখন আপনার সাথে সরাসরি কথা হবে বলে ফোনের লাইন কেটে দেন। এরপর তাকে বারবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে কুমিলস্না জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মজিবুর রহমান আজ রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনি যেহেতু বলেছেন আমি খোঁজ নিচ্ছি। যদি কারো গাফিলতি থাকে তাহলে তদনত্ম করে অবশ্যই ব্যবস’া গ্রহণ করা হবে।
উলেস্নখ্য, নাঙ্গলকোট উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকগুলোতে ডাঃ মোহাম্মদ আলীসহ অন্যান্য চিকিৎসকরা নিজেই অচেতন ও অস্ত্রোপচার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এখানে এ অনিয়মটি যেন এখানে নিয়মে পরিনত হয়েছে।
বারী উদ্দিন আহমেদ বাবর
কুমিলস্না প্রতিনিধি