এ লায়েছ, মেহেরপুর প্রতিনিধি: টগবগে যুবক নাম হাফিজুর রহমান বয়স (৩২), পিতা আকবর শেখ, মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামে বাড়ি।
সাংসারিক কারণে লেখা পড়ায় বড় ডিগ্রী অর্জন করতে পারেনি ঠিকই। কিন’ তার মনে বিরাট আশা সে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলবে ও এলাকার বেকার যুবকদের তিনি কর্মসংস’ানের রাসত্মা তৈরি করবেন। তাই তিনি নিজের তিন একর জমি ও এলাকার পাশের প্রায় আঠারো একর জমি লিজ নিয়ে থাই জাতের পেয়ারা চাষ শুরম্ন করেন এক বছর আগে। বর্তমানে তার প্রতিটি গাছে প্রচুর পেয়ারা ধরেছে। এ মৌসুমে এক দিন পর পর প্রায় পচিশ ত্রিশ মন পেয়ারা তোলা হয়। প্রতিদিন পাইকরি হিসেবে চলিস্নশ কেজি পেয়ারা বার তের শত টাকা দরে বিক্রি হয়। মেহেরপুর জেলা সহ চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাঈদহ সহ ঢাকায় বিভিন্ন ফলের আড়তে জমি থেকে তুলে প্যাকেট করে সরাসরি বাজারে পাঠানো হয়।
ইতিমধ্যে তিনি এই থাই জাত ও চায়না-৩ জাতের মাতৃগাছ তৈরি করেছেন এবং চারা বিক্রির জন্য একটি নার্সারী
তৈরি করেছেন। সেখান থেকে চারা বিক্রির উদ্দ্যেগ গ্রহণ চলছে। এবিষয়ে হাফিজুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান মেহেরপুর কৃষি সম্রসারণ বিভাগ তাকে এবিষয়ে মরামর্শ দিয়েছে। পেয়ারার বাগান দেখা শোনা, ফল সংগ্রহ ও বাজার জাত করতে এলাকার বিশ জন যুবককে সহায়ক কর্মী হিসেবে এ বাগানে কাজের সাথে
সংযুক্ত করা করেছে। পেয়ারার সাইজ ৩-৪ টিতে এক কেজি হয়। স্বাদ ভাল, ফলের গায়ে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো হয় বলে কোন ঔষধ ব্যবহার করা লাগেনা এবং পোকামাকড়ের আক্রমন নেই। হাফিজুর আরো বলেন লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে না গিয়ে এলাকার বেকার যুবকরা তার কাছ থেকে শিড়্গা নিয়ে পেয়ারা চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারে। এছাড়া পেয়ারা চাষে অল্প খরচের মাধ্যমে বড় ধরনের লাভবান হওয়া যায়। তিনি পেয়ারা
চাষে উদ্বুদ্ধ হতে ও বেকার যুবকদের সহায়তা দিতে তার মেধা ও পরামর্শ সবসময় কাজে লাগাবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি তার পেয়ারার বাগান দেখে এলাকায় পেয়ারার চাষে আগ্রহী করে তুলতে পেয়ারা চাষী আগ্রহীদের আমন্ত্রন জানিয়েছে।