২য় বারের মত বিদেশে যাচ্ছে মেহেরপুরের আম-দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা২য় বারের মত বিদেশে যাচ্ছে মেহেরপুরের আম-দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা

Meherpur_Mango_pic[1]
এ লায়েছ , মেহেরপুর প্রতিনিধি : ২য় বারের মত বিদেশে যাচ্ছে মেহেরপুরের আম। ব্যাগিং করা এ আম রপ্তানি হবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে। মেহেরপুর সদর উপজেলার ঝাউবাড়িয়া গ্রামে রপ্তানির লক্ষ্যে সাইদুর রহমানের বাগানে শুক্রবার আম সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশসাক শেখ ফরিদ। উপসি’ত ছিলেন কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচলক এস.এম মোসত্মাফিজুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম রসুল। আমের মূল্য নিয়ে এক্সপোর্টাররা খুশি হলেও ক্ষোভ রয়েছে আম চাষিদের মাঝে।
গেল বছরে মেহেরপুর জেলা থেকে আম রপ্তানি হয়েছিল ১২ মেট্রিকটন। ভাল দাম পাওয়ায় চাষিরা এবার ৯ লক্ষ হিমসাগর ও ল্যাংড়া আম ব্যাগিং করেছেন। কুষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে মতে জেলা থেকে এবার ২০০ মেট্রিকটন আম যাবে ইউরোপিয়ন ইউনিয়নে। এবারে রপ্তানিযোগ্য আমের মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ৮৫ টাকা কেজি। যা গত বছরে ছিল কেজি প্রতি ৯৫ টাকা। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে আম চাষিদের মাঝে। তাদের দাবি গতবারের তুলনায় শ্রমিক খরচ ও উৎপাদন খরচ বেড়েছে। রপ্তানিযোগ্য কেজি প্রতি আম উৎপাদন করতে খরচ হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এক্সপোর্টাররা গাছ থেকে সেরা আমগুলো কিনবেন। বাকি আম বিক্রি করতে হবে স’ানীয় বাজারে। এতে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। এছাড়াও আরোও ১০ দিন আগে চুক্তিবদ্ধ চাষিদের সাথে আম নেওয়ার কথা ছিল তাদের। নির্ধারিত সময়ে আম না নেওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে তারা। আবার মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে গতবারের তুলনায় কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে।
আম চাষি সাইদুর রহমান জানান, তিনি এবার ২০ লক্ষ আম ব্যাগিং করেছেন। ভাল দাম পাওয়ার আশা করেছিলেন তিনি। কিন’ বর্তমান দামে হতাশ তিনি। তবে আগামী বছরে এক্সপোর্টারদের সাথে মূল্য নির্ধারন করে আম ব্যাগিং করবেন। তানাহলে তিনি আম রপ্তানি থেকে সরে আসবেন তিনি। একই দাবি আম চাষি হারন অর রশিদ।
এক্সপোর্টার আবুল হোসেনের দাবি বিদেশে জিপিপিরর মূল্য ১২০ টাকা থেকে নেমে এসেছে ১০০ টাকার নিচে। এছাড়াও গেল দুই মাস এক্সপোর্ট বন্ধ থাকায় বাজার দখল করে নিয়েছে প্বার্শবর্তী দেশ ভারত ও পাকিসত্মান। আনত্মর্জাতিক বাজারে তাদের আম অনেক কম দামে বিক্রি হওয়ায় তাদেরও কম দামে আম বিকিু করতে হচ্ছে।
দাম কম দেওয়ার কথা স্বীকার করে আর এক্সপোর্টার এ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মঞ্জুরম্নল ইসলাম জানান, বাইরে থেকে একটি আমের ব্যাগ আমদানি করে কৃষকদের কাছে পৌঁছাতে লাগছে ৪ টাকা। এতে আমের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। কৃষকদের কাছে এক থেকে দুই টাকা মূল্যে ব্যাগ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি। এতে বাংলাদেশ থেকে আমের রপ্তানি আরোও বাড়বে বলে দাবি তার।
কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের ইপ পরিচালক এস.এম মোসত্মাফিজুর রহমান জানান, আগামিতে আম রপ্তানিতে যাতে ক্ষতির মুখে না পড়তে হয় সেই লক্ষে কৃষি মন্ত্রনালয় ও বানিজ্য মন্ত্রনালয়ে সাথে যোগাযোগ করে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগীতার করা হবে।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post