ছয় বছর পর অবশেষে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে এক লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। আজ মঙ্গলবার খাদ্য অধিদপ্তর ৫০ হাজার টন চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে। আগামী সপ্তাহে আরও ৫০ হাজার টনের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
তবে চাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে খাদ্য মন্ত্রণালয় যে আবেদন করেছিল, সে ব্যাপারে এখনো কোনো সাড়া মেলেনি। ফলে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিয়েই ওই চাল আমদানি করতে হবে। খাদ্য অধিদপ্তরের পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা গুদামে মজুত বাড়াতে পর্যায়ক্রমে ছয় লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম KBDNEWSকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা এক লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছি। বাজার পরিস্থিতি দেখে পরবর্তীকালে আরও আমদানির ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এর আগে গত সপ্তাহে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ছয় লাখ টন চাল আমদানির অনুমতির আবেদন করে। তাতে তারা আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ৪ লাখ ৮৩ হাজার টন চাল দরকার। এ তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়, হাওর এলাকায় ত্রাণ ও অন্যান্য তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হলে চাল আমদানি করতে হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দৈনিক খাদ্যশস্যবিষয়ক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত খাদ্য অধিদপ্তরের গুদামে ৪ লাখ ৮৭ হাজার টন চাল রয়েছে। যার মধ্যে ২ লাখ ৬২ হাজার টন চাল। গত বছর একই সময়ে সরকারি গুদামে মোট খাদ্য ছিল ৯ লাখ ৬৬ হাজার টন। যার মধ্যে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টন ছিল চাল।